ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবীদ্বারে ঘরহীন অনামিকা দত্তকে চৌচালা টিনের ঘর দিলেন ডা. ফেরদৌস খন্দকার
Published : Wednesday, 14 April, 2021 at 12:00 AM
সাথে আসবাব, খাদ্য, তৈজস সামগ্রী ও হাঁস-মুরগী, শব্জীর খামার---এ,বি,এম,আতিকুর রহমান বাশার ঃ
দেবীদ্বারে মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত করোনা যোদ্ধা আমেরিকা প্রবাসী ডা. ফেরদৌস খন্দকার দেবীদ্বার গ্রীন টিম’র মাধ্যমে এক অসহায় দরিদ্র পরিবারকে থাকার চৌচালা টিনের ঘর দিলেন, সাথে আসবাব ও খাদ্য সামগ্রী, হাঁস মুরগীসহ পালনের খামার ও বিভিন্ন ফলফরাদী ও শাক সব্জীর বাগান তৈরী করে দিলেন। তাদের ৪ শতাংশ জমি থাকলেও ঘর তৈরীর সামর্থ ছিলনা।
মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় ‘দেবীদ্বার গ্রীণ টিম’র মাধ্যমে এবং নারী নেত্রী শাহিনূর আক্তার লিপির সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলার এলাহাবাদ গ্রামের দত্তবাড়ির আশিষ কুমার দত্তের স্ত্রী সবিতা রানী দত্তের নিকট ওই ঘরের চাবি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারী নেত্রী শাহিনূর আক্তার লিপি, ‘দেবীদ্বার গ্রীণ টিম’র নেতা সূজিত পোদ্দার, আশেক-ই-এলাহী, শিপলু খান, সুলতান আহমেদ, আব্দুর রহমান ভূঁইয়া, শারমিন আক্তার রীমা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ঘর পেয়ে সবিতা রানী দত্ত আনন্দে আত্মহারা হয়ে অঝরে কাঁদলেন। তিনি জানান, দারিদ্রতার চরম হতাশা নিয়ে তার বিবাহযোগ্য কণ্যাকে নিয়ে মানুষের রান্না ঘর, পরিত্যাক্ত ঘরে রাত্রী যাপন করতে হয়েছে। পারিবারিক অবস্থানগত কারনে কারোর নিকট সাহায্য চাওয়াও তাদের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তাই স্বজাতিদের বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালাতে হয়েছে। রাত্রিযাপন করতে হয়েছে স্বজাতিদের রান্না ঘর কিংবা পরিত্যাক্ত ঘরে। স্বামী আশিষ কুমার দত্ত ঢাকায় একটি মিষ্টি দোকানে ৩ হাজার টাকায় চাকরি করেন। এক মাত্র বিবাহযোগ্য কণ্যা অনামিকা দত্ত এলাহাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০শ শ্রেণীতে লেখা পড়া করেন। বিষয়টি স্থানীয় নারী নেত্রীদের মাধ্যমে মানবতার ফেরিওয়ালাখ্যাত করোনা যোদ্ধা আমেরিকা প্রবাসী ডা. ফেরদৌস খন্দকার অবগত হয়েই এ উদ্যোগ নেন।  
উক্ত আব্সন বিতরণ অনুষ্ঠান চলাকালে আমেরিকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ডা. ফেরদৌস খন্দকার উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার এলাকাতেই নয়, আপনাদের জানামতে যে কোন এলাকায় যারা পারিবারিক বা সামাজিক ঐতিহ্যগত কারনে নিজের দান্যতা প্রকাশে বুকেচাঁপা রাখেন, নিজেদের দান্যতা ও অভাবের কথা প্রকাশ করতে পারেন না, কোন ধরনের সংকোচ ছাড়াই তাদের সংকট ঘুচাতে নিরবেই আমাকে জানাবেন। কোন ধরনের প্রচারনা ছাড়াই তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে দেব। আর্থিকভাবে যে সহযোগীতা প্রয়োজন সময়মতো পেয়ে যাবেন। আমার সহযোগীতা বা সুবিধাভোগীদের নাম পরিচয় গোপন রেখেই দায়িত্ব পালন করবেন।