একের পর এক দারুণ সব ইনিংসে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বাবর আজম। দলের জয়ে রাখছেন বড় অবদান। ব্যাট হাতে উত্তরসূরির এমন ছন্দে মুগ্ধ ইনজামাম-উল-হক। পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক বলছেন, বাবরের মতো এতটা ধারাবাহিক কাউকে দেখেননি তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হাসছে বাবরের ব্যাট। সেঞ্চুরিয়নে বুধবার তিনি খেলেন টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। ৪৯ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি, দেশের হয়ে যা দ্রুততম।
তার ৫৯ বলে ১৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১২২ রানের ইনিংসে পাকিস্তান তাড়া করে ২০৩ রান। যা টি-টোয়েন্টিতে দলটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি করেন বাবর। এর আগে ওয়ানডে সিরিজে করেন একটি সেঞ্চুরি। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ভূমিকা রাখেন দলের জয়ে, হন ম্যাচ সেরাও।
পাকিস্তানের হয়ে ১২০ টেস্ট, ৩৭৮ ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলা ইনজামাম নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাবরের পারফরম্যান্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
“পাকিস্তান দলের এমন ব্যাটিং প্রদর্শনী আমি কখনও দেখিনি। বাবরের প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। আমি বলেছিলাম, পাকিস্তানের ব্যাটিং গভীরতার অভাবে গত ম্যাচে বাবর তার উইকেট হারানো নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিল। তবে নিখুঁত সব শটে আজ সে সাবলীল ইনিংস খেলেছে, কখনোই তেড়েফুঁড়ে মারতে দেখা যায়নি তাকে। তাকে এক নম্বর ব্যাটসম্যান বলা ভুল কিছু হবে না।”
“বাবর যে মানের ব্যাটসম্যান, সে কেবল পাকিস্তানের রেকর্ড নয়, অনেক বিশ্ব রেকর্ড ভাঙবে। বাবরের মতো এমন ধারাবাহিক পারফর্ম করতে আমি কাউকে দেখিনি।”
ব্যাট হাতে বাবরের ধারাবাহিক নৈপুণ্যের প্রতিফলন পড়ছে র্যাঙ্কিংয়েও। আইসিসির তিন সংস্করণেই ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে আছেন তিনি সেরা দশে। ওয়ানডেতে গত বুধবার প্রথমবারের মতো ওঠেন শীর্ষে। ২০১৮ সালে টি-টোয়েন্টিতে চূড়ায় ওঠার পর দুই বছর শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিলেন, এখন তার অবস্থান তিনে। টেস্টে আছেন ছয় নম্বরে।
টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের ওপেনিং পজিশন নিজের করে নিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইনজামামের মতে, যে কোনো জায়গায় ব্যাটিং করার সামর্থ্য এরই মধ্যে দেখিয়েছেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
“গত বছর থেকে রিজওয়ান ব্যাটিং অর্ডারের সব পজিশনেই পারফর্ম করেছে। অনেকে শুরুতে ভেবেছিল, ওপেনার হিসেবে সে পাওয়ার-হিটিং ক্রিকেট খেলতে পারবে না। কিন্তু রিজওয়ান সব সংশয় দূর করে দিয়েছে।”