ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় চলছে কঠোর লকডাউন। বসেছে বৈশাখের মাছ বাজার
তানভীর দিপু:
Published : Wednesday, 14 April, 2021 at 2:06 PM, Update: 14.04.2021 2:11:02 PM
কুমিল্লায় চলছে কঠোর লকডাউন। বসেছে বৈশাখের মাছ বাজারসর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লায় দেখা গেছে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র। বেশির ভাগ মানুষই করোনা স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি আইন মেনে ঘরে থাকলেও বাংলা বছরের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ হওয়ায় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে গিয়েছেন মাছ ও সবজির বাজারে। ভিড় করে নববর্ষের বাজার ও কেনাকাটা করেছেন লকডাউন না মেনেই। বাজার এলাকা বাদে বুধবার সকাল থেকে কুমিল্লা নগরীর বেশির ভাগ বিপনী বিতান ও দোকানপাট ছিলো বন্ধ। রাস্তায় যানচলাচল ছিলো খুবই সীমিত। জরুরী কাজে যারা বাইরে বের হয়েছেন তাদেরকেই শুধু রিকশা-মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন।
লকডাউনের প্রথম দিনে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর প্রবেশ মুখ গুলোতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কুমিল্লা শহরে প্রবেশ এবং বের হতে জরুরী কারণ জানিয়ে অনুমতি নেয়া লাগছে প্রশাসনের। নতুবা অনেকেই দিয়েছেন লকডাউন না মানার জরিমানা। এছাড়া নগরীর ভেতরে রাজগঞ্জ, পুলিশ লাইন্স, চকবাজার, শাসনগাছা, চকবাজার এলাকায় অভিযানে ছিলো ৭টি ভ্রাম্যমান আদালত। জেলা পুলিশের টহল দলও লকডাউন মানাতে কাজ করছেন কুমিল্লার শহরের ২১টি পয়েন্টে। যারাই লকডাউন অমান্য করে বাইরে বের হচ্ছেন তাদেরকে আনা হচ্ছে শাস্তির আওতায়।
এদিকে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় লকডাউনেও নগরীর বাজার গুলোতে ছিলো অসচেতন মানুষের ভিড়। নববর্ষের বাজার করতে অনেকেই করোনা কুমিল্লায় চলছে কঠোর লকডাউন। বসেছে বৈশাখের মাছ বাজারস্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই গিয়েছেন বাজারে। সকাল থেকেই নগরীর রাজগঞ্জ, চকবাজার, বাদশাহ মিয়ার বাজারের মাছ বাজারে ছিলো ক্রেতাদের উপচে পরা ভিড়। ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেখা উপায় নেই কোথাও করোনা মহামারি ঠেকাতে চলছে লকডাউন।
এদিকে কুমিল্লাবাসীকে লকডাউনে সচেতন করতে বেলা ১১টায় শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে বের হন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। তারা শহর এবং শহরতলীর এলাকাগুলোতে আকস্মিক পর্যবেক্ষনে গিয়ে সাধারণ মানুষকে লকডাউন মানাতে পরামর্শ দেন। কোথাও কোথাও তাদের নেতৃত্বে দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ করা হয়।
কুমিল্লা নিউ মার্কেট এলাকায় পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক আহমেদ জানান, কুমিল্লানগরী ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও সাধারণ মানুষকে লকডাউন মানানোর জন্য জেলাপ্রশাসনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ মাঠে আছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি সব আইন মেনে পুলিশ আগামী ৭ দিন জোরালো ভূমিকা পালন করবে। তবে করোনা সংক্রমণ এড়াতে সাধারাণ মানুষের সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।  
জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান নগরীর সবচেয়ে জনাকীর্ণ রাজগঞ্জ বাজার পরিদর্শনে গিয়ে বন্ধ করে দেন বেশ কয়েকটি খাবারের দোকান ও খাবারের দোকান। এছাড়া রাজগঞজ বাজারে রাস্তার উপর যে কাঁচাবাজার বসেছে সেখানে প্রতিটি দোকানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাস্ক ব্যবহারে নির্দেশনা দেন।
অন্যদিকে নগরীর বাদুরতলা, ঝাউতলা, পুলিশ লাইন্স এলাকায় পরিদর্শনে বের হন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি এসময় বাদুরতলা এলাকায় চলাচলকারী বিভিন্ন পরিবহন থামিয়ে চলাচলের কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং খোলা দোকানপাট বন্ধ করার নির্দেশনা দেন।