মোঃ জামাল হোসেনঃ
শাহরাস্তিতে লকডাউনের প্রথম দিন শাহরাস্তির প্রধান সড়ক গুলোতে পুলিশের তৎপরতা ও সর্বাত্মক লকডাউন চলছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বুধবার ভোর থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়েছে। চাঁদপুরের শাহরাস্তিসহ দেশের সর্বত্র বুধবার ভোর থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। সাড়ে ৮টার দেখা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। চলছে তল্লাশি।
এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হবার কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে।
একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ ছাড়া কাউকে রাস্তায় চলতে দেয়া হচ্ছেনা। ব্যক্তিগত গাড়ী রাস্তায় নেই বললেই চলে।
যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বহু রাস্তায় বেরিকেড বসিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থার যানবাহন ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলতে পারছেনা।
সরকারের তরফ থেকে এটিকে ‘কঠোর লকডাউন’ হিসেবে বর্ণনা করা হলেও গার্মেন্টসসহ শিল্পকারখানা এবং ব্যাংক খোলা রয়েছে।
এ দফায় ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকারের ১৩ দফা বিধি নিষেধে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত (ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা, চিকিৎসা সেবা, মরদেহ দাফন বা সৎকার এবং টিকা নিতে যাওয়া) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না।
পুলিশের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ কার্যকর করতে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তা বাস্তবায়নে এবার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এজন্য ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া কাউকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মান্নান শাহরাস্তি গেইট দোয়াভাঙ্গা, কালিয়াপাড়া বাজার, মেহের স্টেশনসহ। তিনি সেখানে তার ফোর্স নিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে কোন যানবাহন আসলে ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
তিনি জানান, কঠোরভাবে লকডাউন পালনা করা হচ্ছে। মানুষকে বাঁচাতে হবে, আমরা নিজেরাও বাঁচতে হবে। সেই লক্ষে পুলিশ প্রশাসন লকডাউন পালনে কঠোরতা অবলম্বন করছে।
পুলিশ লকডাউন কার্যকরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোন ভাবেই রাস্তায় বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া যাবেনা। ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।