দেশে
করোনাভাইরাসে একদিনে আরও ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময়ে করোনাভাইরাসে নতুন
করে আক্রান্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৮ জন। টানা তিনদিন দৈনিক ৭০ জনের বেশি মৃত্যুর
পর মঙ্গলবার তা কমল।
সোমবার ৮৩ জন, রোববার ৭৮ জন এবং শনিবার একদিনে ৭৭
জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন ৬৯ জনের মৃত্যুতে দেশে
করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৯১ জনে।
গত ৩১ মার্চ ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু কখনই ৫০ এর নিচে নামেনি।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর রোববার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়েছে, যা নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জন।
সংক্রমণের
দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ৬ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে
আসছিল। এর মধ্যে গত বুধবার রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন ৪ হাজার ৮৫৩ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন।
গত
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। আর
সর্বমোট নমুনা পরীা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৫৫টি ল্যাবে ৩২ হাজার ৯৫৫টি
নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৫০ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৮টি নমুনা।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ; তা ৬ লাখ পেরিয়ে যায় গত ১ এপ্রিল।
প্রথম
রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য
নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা ৯ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে।
গত
এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ আর নারী ২৬ জন। তাদের
মধ্যে ৫ জন বাড়িতে, ১ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। বাকীদের
মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।
মৃতদের মধ্যে ৩৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি,
২০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং ৩ জনের বয়স ৩১
থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৪১ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন
চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন খুলনা বিভাগের, ৩ জন বরিশাল
বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৩ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ
বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৯ হাজার ৮৯১ জনের মধ্যে ৭ হাজার ৩৭৬ জনই পুরুষ এবং ২ হাজার ৫১৫ জন নারী।