দেশে
করোনাভাইরাসে একদিনে আরও ৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে; আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪২৮০
জনের। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ জনের
মৃত্যুর খবর দিয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৬৮৩ জনে পৌঁছাল।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা সাত লাখ ৩২ হাজার ৬০ জনে দাঁড়াল।
চার
দিন পর মঙ্গলবার দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ এর নিচে নেমে
আসে। এর আগে শুক্র ও শনিবার ১০১ জন করে, রোববার ১০২ জন এবং সোমবার ১১২
জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল অধিদপ্তর।
গত ৩১ মার্চ ৫২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে দৈনিক মৃত্যু কখনই ৫০ এর নিচে নামেনি।
সংক্রমণের
দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত কয়েক দিন ধরেই দিনে ছয় হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়ে
আসছিল। এর মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড সাত হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়েছিল।
গত ২৪ ঘণ্টায় সেরে উঠেছেন সাত হাজার ৭২ জন। তাদের নিয়ে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৩৫ হাজার ১৮৩ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা ছয় লাখ পেরিয়ে
যায় গত ২৯ মার্চ। এর ঠিক ১৬ দিন পর ১৪ এপ্রিল সাত লাখ ছাড়ায় মোট শনাক্ত।
প্রথম
রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য
নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ৩১ মার্চ তা নয় হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এরপর মাত্র ১৫ দিনে আরও এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ৩০ লাখ ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৪৬ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৩৫টি ল্যাবে ২৮ হাজার ৪০৮টি
নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৮৩টি
নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৭
শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায়
সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
সরকারি
ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৮ লাখ ৯৭ হাজার ৬৪৫টি।
আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৩৮টি।
গত এক দিনে যারা
মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ আর নারী ৩৬ জন। তাদের ৬০ জন সরকারি
হাসপাতালে ৩১ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং চারজন বাড়িতে মারা গেছেন।
তাদের
মধ্যে ৫৭ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ২২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ১৩
জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর এবং তিনজনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের
মধ্যে ৫৮ জন ঢাকা বিভাগের, ১৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, আটজন রাজশাহী
বিভাগের, তিনজন খুলনা বিভাগের, দুইজন বরিশাল বিভাগের, তিনজন সিলেট বিভাগের,
দুইজন রংপুর বিভাগের এবং একজন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১০ হাজার ৬৮৩ জনের মধ্যে সাত হাজার ৮৮৬ জনই পুরুষ এবং দুই হাজার ৭৯৭ জন নারী।