মাদক বিক্রির টাকার জন্য খুন হয় মুক্তাগাছা উপজেলার কাঠবওলা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের পুত্র দিদারুল ইসলাম রুবেল (৩০)। রুবেল হত্যাকাণ্ডের ২১ দিন পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় মূল আসামি সুমন মিয়া (২৫) ও মো. খোকন ওরফে খোকাকে (২৫) গতকাল গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত সুমন মিয়া সদর উপজেলার চর ভবানীপুর কোনাপাড়া গ্রামের শরাফ উদ্দিনের পুত্র এবং মো. খোকন ওরফে খোকা একই গ্রামের আ. রশিদের পুত্র।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় নগরীর জেলখানা চর বেড়িবাঁধ থেকে দিদারুল ইসলাম রুবেল (৩০) নামে এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। নিহত রুবেল ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কাঠবওলা গ্রামের মো. মোখলেছুর রহমানের পুত্র।
এ ঘটনায় পরদিন রুবেলের পিতা মো. মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়া হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
তিনি জানান, রুবেলের কাছে মাদক বিক্রির টাকা পাওনা নিয়ে আসামি সুমন ও খোকার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রুবেলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে নগরীর জেলখানা চর বেড়িবাঁধে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।