
রণবীর ঘোষ কিংকর: করোনা কালিন সময়ে কুমিল্লায় ধানকাটার মৌসুমে শ্রমিকের তীব্র সংকট। শ্রমিকের অভাবে অধিকাংশ কৃষক তাদের সৃজিত ফসল ঘরে তুলতে না পারায় পাশে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ।
বিনামূল্যে হারভেস্টার দিয়ে ধান কেটে মারাই শেষে স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকের সৃজিত ধান বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন তারা। আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ কুমিল্লা উত্তর জেলার ১০১টিমের প্রধান সমন্বয়ক লিটন সরকারের নেতৃত্বে ওই ধান কাটার কাজ শুরু করেছে তারা।
রবিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা থেকে ওই কর্মসূচী শুরু করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১০১টিম। এতে কৃষকদের মুখে ফুটেছে অনাকাঙ্খিত প্রাপ্তির হাঁসি।
মাধাইয়া ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক জানান- আমি ৪৫ শতাংশ জমির ধান কাটা নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছিলাম। শ্রমিক পাচ্ছিলাম না, যাও পেয়েছি তারা ৭-৮শ টাকার নিচে আসে না। এদিকে জমিতে ধান পেঁকে গেছে অনেক আগেই। পরে লিটন সরকারের নেতৃত্বে ১০১ টিম এসে ধান কেটে মেশিনে মারাই ও ঝাড়া শেষ করে তাদের সদস্যরাই জমি থেকে ধান বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। কৃষকদের প্রতি তাদের এ মহানুভবতা দেখে এলাকার সকল কৃষক কৃতজ্ঞ।
কর্মসূচীর প্রথম দিনে চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়ন, বাতঘাসী ইউনিয়নের প্রায় ২০ একর জমির ধান কাটা সম্পন্ন করে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (দুপুর আড়ায়ইটা) ধান কাটার কাজ চলছিল।
এ ব্যাপারে লিটন সরকার জানান- ধান কাটা নিয়ে কৃষকরা বিপাকে আছে দেখে আমি এই হারভেস্টার ভাড়া নেই। সম্পূর্ণ ভাড়া আমি নিজেই পরিশোধ করবো এবং কুমিল্লা উত্তর জেলার যে দরিদ্র কৃষকরা ধান কাটা নিয়ে বিপাকে আছেন তাদেরকে বিনা মূল্যে ধান কেটে সহায়তা করবে আমাদের কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ১০১টিম।
তাদের কর্মসূচীকে সাদুবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন- আমি প্রথমেই ১০১টিমকে ধন্যবাদ জানাই। মানবিক মূল্যবোধ থেকে তাদের এই কর্ম তৎপরতা কৃষকদের জন্য অনেক বড় আর্শিবাদ। তবে শ্রমিক সংকটের চেয়ে শ্রমিকের মুজুরিতে কম-বেশি আছে। এতে করে কোন কোন উপজেলায় দরিদ্র কৃষকরা কিছুটা বিপাকে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মু. রুহুল আমিন জানান- কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যে কাজ করছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার এবং দলের যথার্থ কাজ করছে তারা।