
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া)আসনে আওয়ামী লীগের পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর গত বৃহস্পতিবার আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আওয়ামী লীগর ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ২০ জন নেতা।
তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ও নির্বাচনী এলাকায় বিশেষভাবে আলোচনায় আছেন সাবেক ছাত্র নেতা ও শেখ হাসিনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো: আবদুল জলিল। তিনি গত একদশক ধরে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার গণমানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ নেতা মো: আব্দুল জলিল ছাত্রজীবনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শাখা ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ছাত্রজীবনে সাহেবাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্রজানায়, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন গ্রামের ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তরুণ প্রজন্মের রোল মডেল মো: আবদুল জলিল। তাঁর পিতার নাম মোঃ আলী নেওয়াজ এবং তার মাতার নাম রাহেলা খাতুন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন পুত্র সন্তানের জনক। তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা।
বিগত ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী মাঠে তিনি বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা-৫ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের রাজনীতির পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবো এবং শিক্ষিত ও তরুণদেরকে রাজনীতির সুযোগ করে দেবো। করোনা চলাকালীন সময়ে বুড়িচং-ব্রহ্মণপাড়াবাসীর জন্য সশরীরে মাঠে ছিলাম এবং দুর্গতদের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নেত্রী যদি মো: আবদুল জলিলকে মনোনয়ন দেয় তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার জন্য একযোগে কাজ করবে।