
করোনার সংক্রামণ রোধে ১৪ দিন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্য চালু রয়েছে। যদিও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে গত বছরের মার্চ মাস থেকেই দুদেশে যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ভারতে করোনার সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ায় দেশে করোনার বিস্তার রোধে গতকাল সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। তবে এই সীমান্ত বন্ধের নির্দেশনার প্রভাব বন্দরের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে পড়েনি। স্বাস্থ্যবিধিসহ সব নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানিসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু রয়েছে। ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক সীমান্তে ও বন্দরে প্রবেশের সময় দুদফায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এর চালক ও হেলপারদের স্যানিটাইজ করে এবং তাপমাত্রা পরিমাপ করে বন্দরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাংলা ট্রাককেও বন্দরে প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক স্প্রে ও তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। এছাড়া বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে শ্রমিকসহ সবার জন্য হাতধুয়ে বন্দরের ভেতরে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ভারতের বিধানসভা নির্বাচনের কারণে গতকাল সোমবার বাণিজ্য বন্ধ ছিল।’