
লকডাউন কার্যকরে ও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিওিতে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের নির্দেশনা চেয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠনো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এসএম জুলফিকার আলী জুনু স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীকে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনার ভয়াল মাহামারির হাত থেকে দেশের মানুষের জীবন রক্ষায় সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ সপ্তাহ ধরে দেশে লকডাউন চলমান রয়েছে। কিন্তু আমরা পত্রপত্রিকার খবরে দেখতে পাই, শহরগুলোতে যথাযথভাবে লকডাউন পালিত হচ্ছে না এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন না করার প্রবণতা মানুষের চলাফেরায় প্ররিলক্ষিত হচ্ছে। ফলে দেশে লকডাউন কার্যকর হচ্ছে না এবং করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কমছে না।
‘দেশের জনগণকে করোনার মরণথাবা থেকে রক্ষায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সেনাবাহিনী মোতায়নের বিকল্প নেই। সেনাবাহিনীই পারে দেশে কার্যকর লাকডাউন পালনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে। এছাড়া দেশে দিনের পর দিন যে হারে করোনায় আক্রান্ত রোগী বেড়ে চলেছে তাতে হসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিতে টিকিৎসক-নার্সরা হিমশিম খাচ্ছেন। অতএব উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়রে অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দেশের প্রতিটি উপজেলা, জেলা ও মহানগর পর্যায়ে ফিল্ড হসপিটাল তৈরি করে করোনা রোগীদের পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা জনস্বার্থে সময়ের দাবি।’—বলা হয় নোটিশে।
তাই জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় নোটিশপ্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশে কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়নে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তায় সারাদেশে সেনা মোতায়েন ও দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে উপজেলা, জেলা, মহানগরে ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনের জন্য জরুরি ভিওিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় জনস্বার্থে উপযুক্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।