নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে বজ্রপাতের পর নিখোঁজ হওয়া ইঞ্জিনচালিত নৌকার সেই চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সুলতান মিয়া (৪২)।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চালক সুলতান মিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে। তিনি নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী পরিবহন করতেন।
জানা যায়, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নরসিংহপুর নদীর কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের জাহেরপুর ফেরিঘাটে বজ্রপাতের শিকার হয়েছিলেন সুলতান মিয়া। তিনি কিশোরগঞ্জের ইটনা বাজার থেকে চারজন যাত্রী নিয়ে নৌকা চালিয়ে নেত্রকোণার খালিয়াজুরীর কৃষ্ণপুর বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে জাহেরপুর ফেরিঘাটের কাছে বজ্রবৃষ্টির কবলে পড়েন। এসময় সুলতান মিয়া ছিটকে নদীতে পড়ে যান। তবে নৌকায় থাকা চারজন যাত্রী অক্ষত থাকেন।
খালিয়াজুরী থানার ওসি মো. মজিবুর রহমান জানান, নিখোঁজের পর থেকে স্থানীয় লোকজন ও থানার পুলিশ সুলতান মিয়াকে উদ্ধারে চেষ্টা চালায়। পরে তা বন্ধ করা হয়।
শনিবার সকাল থেকে আবারো উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। বেলা ১১টার দিকে নরসিংহপুর নদীর প্রায় এক কিলোমিটার ভাটিতে উপজেলার নগর ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মরদেহের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচ এম আরিফুল ইসলাম জানান, বজ্রপাতে নিহত সুলতান মিয়ার পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।