দেশে
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত একদিনে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; নতুন
করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৮২ জন। এর চেয়ে কম ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর
এসেছিল ২৮ মার্চ। গত ৩৮ দিনে এর নিচে নামেনি। বৃহস্পতিবার কোভিডে মৃত্যুর
সংখ্যা ছিল ৪১। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ১১২ জনের মৃত্যুর খবর আসে ১৯
এপ্রিল।সে সময় টানা চার দিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর ওপরে। স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের নিয়ে
করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা বেড়ে ১১ হাজার ৮৩৩ হয়েছে। আর নতুন
আক্রান্তদের নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার ৮৪২
জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ১৭৮ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৪১ জন।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ
পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল
রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন
পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এ বছর ১ মে তা সাড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩২ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৪৪৩টি ল্যাবে ১৭ হাজার ১৩টি
নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৭৬টি নমুনা।
২৪
ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মোট শনাক্তের
হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩৭ শতাংশ
এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৪১ লাখ ১৮ হাজার ১৫১টি; বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ লাখ ৮১ হাজার ১২৫টি।
গত
এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ আর নারী ১৪ জন। তাদের
২৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৮ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা
গেছেন একজন।
মৃতদের মধ্যে ২০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স
৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স
৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল। মৃতদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন
চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল
বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১১ হাজার ৮৩৩ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৫৮৯ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ২৪৪ জন নারী।