Published : Friday, 7 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 07.05.2021 12:51:58 AM
তানভীর দিপু ।।
কুমিল্লায়
৩৫ দিনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১০৫ জন। এপ্রিলের ১
তারিখ থেকে গতকাল মে মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত কুমিল্লা সিভিল সার্জন
কার্যালয়ের তথ্য পর্যালোচন করে এ পরিসংখ্যান জানা গেছে। এ তথ্যানুসারে
কুমিল্লা জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন গড়ে ৩ জন প্রাণ
হারাচ্ছেন। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, মার্চ মাসের ৩১ তারিখে
কুমিল্লায় সর্বমোট প্রাণহানির সংখ্যা ছিলো ২৮৮ আর গতকাল বৃহস্পতিবার
পর্যন্ত এই মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সর্বমোট ৩৯৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায়
শনাক্তের হার ১৪ শতাংশেরও বেশি, মারা গেছেন আরো ৪ জন।
এদিকে কুমিল্লায়
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় শনাক্তের হার কিছু কমে আসলেও মৃত্যুর সংখ্যা
বাড়ছেই। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মৃত্যুবরণ করছেন বেশির ভাগ করোনা আক্রান্ত রোগী। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই
পঞ্চাশোর্ধ ব্যাক্তি। তবে তরুণ বা মাঝ বয়েসী করোনা আক্রান্তদেরও মৃত্যুর
ঘটনা ঘটছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ডা. মোঃ মহিউদ্দিন
জানান, নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাস শুধু বয়স্কদের নয়, শিশুদেরকেও
মারাত্মক ভাবে আক্রমণ করছে। শিশুদের বিষয়েও আমাদের অনেক বেশি সচেতন হতে
হবে। আর কুমিল্লায় সংক্রমণ না কমলে মৃত্যুর হার কমানো সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোন বিকল্প নাই।
এদিকে গত কয়দিন যাবত ঈদ
শপিংকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার বিভিন্ন বিপিনী বিতান ও শপিংমলগুলো মানুষের
উপচে পড়া ভিড়। দিন দিন এই ভিড় বাড়ছেই। সচেতন নাগরকিদের মতে, কুমিল্লা নগরীর
প্রাণকেন্দ্রে ঈদকে সামনে রেখে যে জনসমুদ্র তা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের
আশংকাজনক চিত্র সৃষ্টি করতে পারে। যারা কেনাকাটা করতে আসছেন তাদের বেশির
ভাগই শিক্ষিত সমাজ এবং তরুণ। তাদের মধ্যে করোনা নিয়ে অসচেতনতা পুরো
কুমিল্লকে বিপদে ফেলতে পারে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার
বাধ্যতামূলক করা হলেও মাস্ক ছাড়াই শিশুদের নিয়ে ঈদ মার্কেটে আসছেন
বাবা-মায়েরা। কুমিল্লা নগরীর জনাকীর্ণ শপিং কমপ্লেক্সগুলো ঘুরে দেখা গেছে
বাবা-মা মাস্ক ব্যবহার করলেও শিশুদের মুখে নেই মাস্ক। সপরিবারে ঈদের শপিং
করতে আসা পুরো পরিবারের কারো মুখেও দেখা যায় নি মাস্ক। করোনা প্রতিরোধে
সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার বলা হলেও মানা হচ্ছে না এসব
কিছুই।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, বয়স্কদের
পাশাপাশি শিশুদের নিয়েও এখন বেশি সচেতন হতে হবে। এখন শিশুরাও আক্রান্ত
হচ্ছে। মাস্ক ছাড়া বা সুরক্ষা ছাড়া শিশুদের নিয়ে ঈদবাজারের মত জনবহুল এলকায়
যাওয়া খুবই বিপজ্জনক । শিশুদের মাধ্যমে করোনা যেমন বেশি ছড়ায়, তেমনি
ইদানিং শিশুদের দেহেও করোনা ভয়াবহ ক্ষতির উদাহরণ পাওয়া গেছে। সবাইকে
ব্যাক্তিগতভবে বেশি সচেতন হতে হবে।