ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মালদ্বীপে আক্রান্ত ৩৮ হাজার
মোট মৃত্যু ৮৭
Published : Thursday, 13 May, 2021 at 1:50 AM
 মালদ্বীপে আক্রান্ত ৩৮ হাজার
গত ২৪ ঘণ্টায় মালদ্বীপে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১৫০১ জন। তাদের মধ্যে মালে আক্রান্ত হয়েছে ১২২৯ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মালদ্বীপে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২০ জন।

১১ মে সন্ধ্যায় মালদ্বীপের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংস্থার নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে আরও জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ২৪৮ জন। এই নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ২৬ হাজার ৭৯৫ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৭ জন।

দেশটিতে এখন করোনায় আক্রান্ত রোগী আছেন ১১৬২৯ জন। তাদের মধ্যে ২৪৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

মালদ্বীপে এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন সর্বমোট ৩০১৭০৭ জন। তাদের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন সম্পন্ন করেছে ১৩৬২০৫ জন।

এদিকে, করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বিশ্বের ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত অক্টোবরে ভারতে করোনার বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এই মুহূর্তে তা বিশ্বের প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে পাওয়ার তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

চলতি সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে সতর্ক করেছে। ভারতের পরে এই ভাইরাসের প্রভাবে সবথেকে বেশি সংক্রমণ দেখা গেছে যুক্তরাজ্যে। অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট অনেক দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে সতর্ক করেছিল হু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গবেষণায় হু দেখেছে ভারতে এত দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর পেছনে অন্যতম যে কারণ রয়েছে সেটি হলো এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষমতা।

এই প্রজাতি অনেক দ্রুত ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম। এমনকি করোনার টিকার মাধ্যমে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সেই অ্যান্টিবডিও অনেক সময় এই ভাইরাসকে রুখতে ব্যর্থ হয়। ফলে টিকা নেয়ার পরেও অনেক বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।

সেই সঙ্গে আরও যে সব দেশে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে সেসব দেশকেও সতর্ক করেছে হু। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম ভারতে পাওয়া গেলেও এখন বিশ্বের ৪৪টি দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এই প্রজাতির সংক্রমণ কমানো। তার জন্য প্রতিটি দেশকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে এই ভাইরাস আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।