ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ, চলছে দূরপাল্লার বাসও
Published : Monday, 17 May, 2021 at 12:00 AM
ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ থাকার কথা থাকলেও কিছু কিছু দূরপাল্লার বাস চলছে। সিএনজি, নছিমন, করিমন, অটোরিকশা, ইজিবাইক, ট্রাক, মিনিট্রাকে কর্মস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষ।
সোমবার (১৭ মে) থেকে অনেক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি খোলা থাকায় যে যেভাবে পারছেন ছুটছেন গন্তব্যে। স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউই। মুখে মাস্ক থাকলেও গাড়িতে গাদাগাদি বসতে দেখা গেছে।
ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীরা বলছেন, গার্মেন্টস, টেক্সটাইল মিল খোলা হয়েছে। যেভাবেই হোক তাদের ফিরতে হবে কর্মস্থলে। না হলে চাকরি হারানোর শঙ্কা। দূরপাল্লার কিছু বাস চললেও দ্বিগুণের বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দূরপাল্লার বাস কেন চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, পেটের দায়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন তারা। গাড়ি কম যাত্রীর চাপ বেশি। এজন্য ভাড়া কিছু বেশি নিচ্ছেন।
রোববার (১৬ মে) দুপরে পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে দেখা যায়, নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়। এদিকে শম্ভুগঞ্জ থেকে পাটগুদাম ব্রিজ মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
ঢাকার সাভারে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি করেন সারোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, কাল থেকে অফিস খোলা। যেভাবেই হোক অফিসে পৌঁছাতে হবে। তাই বউ বাচ্চা নিয়ে রওনা হয়েছি।
মিনি পিকআপে গাজীপুরের জয়দেবপুরে যাচ্ছেন একসঙ্গে আটজন। চাকরি করেন জয়দেবপুরের একটি গার্মেন্টসে। কথা হয় লিমন মিয়া নামে তাদের একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, গাজীপুরে যাওয়ার জন্য অন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই আগে থেকেই বলে রাখা এ মিনি পিকআপে করে যাচ্ছি।
ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের সহকারী জলিল মিয়া বলেন, আমরা গাড়ি নিয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত যাই। এর থেকে বেশি গেলে পুলিশ গাড়ি আটকে দেয়। যাত্রীর চাপ বেশি তাই ভাড়া কিছুটা বেশি রাখছি।
পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে কথা হয় সৌখিন এক্সপ্রেস চালক মামুন মিয়ার সঙ্গে, কাউন্টার বন্ধ থাকায় ব্রিজ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত যাব। তবে তিনি ভাড়া বেশি রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম খোকন বলেন, লকডাউনে কোনো সুযোগ-সুবিধা সরকার পরিবহন শ্রমিকদের দেয়নি। দেশের সব প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও বন্ধ শুধু পরিবহন সেক্টর। এই মুহূর্তে আমাদের দাবি একটাই, সরকার যেন সব পরিবহন ছেড়ে দেয়।