প্রচলিত মতবাদ হলো প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন চাই আট ঘণ্টার নির্ভেজাল ঘুম।
তবে বয়সভেদে ঘুমের তারতম্য হয় বলে দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা।
ছোটবেলায় ঘুম বেশি প্রয়োজন হয়, আর বয়স যত বাড়ে ততই কম ঘুমিয়েও সুস্থভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব।
কিছু বিষয়ের কারণে ঘুমের মাত্রা নিয়ে এই ধারণাতে পরিবর্তন আসতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ওয়েল অ্যান্ড গুড ডটকম’য়ে পর্যাপ্ত ঘুমের পরিমাণ নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো বিস্তারিত।
কোন বয়সে কেমন চাহিদা?মোটা দাগে বলা যায়, একজন মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তার ঘুমের চাহিদায় সামান্য পরিবর্তন আসে।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘সার্টিফায়েড স্লিপ কোচ’ এবং ‘স্টার্টস্লিপি’য়ের প্রতিষ্ঠাতা রায়ান ফিয়োরেনজি বলেন, “বয়স ভেদে ঘুমের প্রয়োজনীয়তাকে ৯টি ধাপে ভাগ করা যায়। যার বয়স যত কম, তার ঘুম তত বেশি দরকার।"
নবজাতক শিশুর প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা ঘুম দরকার। হামাগুড়ি দেওয়ার বয়সে তার ঘুমের চাহিদা হবে দৈনিক ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
বয়সন্ধিকাল বা ‘টিনএজার’দের ঘুমাতে হবে আট থেকে ১০ ঘণ্টা।
আর পরিণত বয়সে ঘুম দরকার সাত থেকে নয় ঘণ্টা প্রতিদিন।
চাহিদার তারমধ্যের কারণফিয়োরেনজি বলেন, “বিভিন্ন বয়সে ঘুমের প্রয়োজন বিভিন্ন রকম হওয়ার সঠিক কারণটা আজও রহস্য। বিষয়টা নিয়ে আজও তর্কের সুযোগ আছে।"
"একটি মতবাদ হলো, বয়সের বাড়ার সঙ্গে মস্তিষ্কের স্নায়বিক সংযোগ ক্রমেই কমতে থাকে। এদের মধ্যে সেই স্নায়বিক সংযোগও নষ্ট হয় যার কাজ ছিল মানুষ যে ক্লান্ত তার সংকেত দেওয়া।”
তিনি আরও বলেন, “মজার ব্যাপার হলো, গবেষণা বলে মস্তিষ্কে ক্লান্তি বিষয়ক রাসায়নিক বার্তা সব বয়সেই পরিমানে একই । তাই ঘুমের এই বিষয়ে আরও বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।"
"আমরা এতটুকু বলতে পারি যে ‘রিসেপ্টর’গুলো সংকেত গ্রহণ করে এবং তা অনুবাদ করে সেগুলো বয়সের সঙ্গে দুর্বল হতে থাকে।”
আরেক নিবন্ধিত 'স্লিপ সায়েন্স কোচ' এবং স্লিপিংওশন ডটকম’য়ের প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্স স্যাভি বলেন, “বয়স বাড়ার সঙ্গে রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়। কারণ পরিণত বয়সে মানুষ গভীর ঘুমে থাকে অনেক কম সময়।”
"পাশাপাশি বয়সের সঙ্গে ‘গ্রোথ হরমোন’য়ের মাত্রাও কমতে থাকে আর উৎপাদনের হারও কমে যায়। যে কারণে ঘুমের মাত্রা কমে যায়।”