ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘সচেতন না হলে তৃতীয় ঢেউও আসতে পারে’
Published : Thursday, 20 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 20.05.2021 1:58:56 AM
‘সচেতন না হলে তৃতীয় ঢেউও আসতে পারে’নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, ঈদের সময় গ্রামের বাড়িতে যাওয়া জনস্রোতের কারণে করোনা ঝুঁকি আবার আরও বাড়তে পারে। এখনো দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হয়নি। এ জনস্রোতের কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউও আসতে পারে।  ‘ঈদ-পরবর্তী করোনা ঝুঁকি ও করণীয়’ ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন। করোনা মহামারির সময় যেসব চিকিৎসক পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের এবং শহীদ ফারাজ আইয়াজ হোসেনকে স্মরণ করে শুরু হয় ওয়েবিনার। এর আয়োজন করে ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশন।
‘সচেতনার শক্তি, সাহসিকতার জয়’ স্লোগানে অনুষ্ঠানের শুরুতেই খ্যাতিমান এ চিকিৎসকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ঈদ-পরবর্তী করোনা বলতে কী বুঝি এবং করণীয়ই-বা কী?
উত্তরে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ঈদের আগে মানুষ অনেক কষ্ট করে গ্রামের বাড়ি ঈদ করতে গেছেন। এখন আবার তাঁরা ফিরতে শুরু করেছেন। এত মানুষ একসঙ্গে বাড়ি যাওয়ার সময় কারোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ছিল। যাওয়ার সময় কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তাঁর কাছ থেকে কিন্তু একজন সুস্থ মানুষের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া সম্ভব। বাড়িতে গিয়ে তিনি কিন্তু তাঁর পরিবারের সঙ্গে সবার সঙ্গে আগে দেখা করেছেন। তাঁদের সঙ্গে মিশেছেন। ঈদ করতে বাড়িতে যাওয়া লোকটা যদি যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কিন্তু তাঁর পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। একজনের কাছ থেকে কিন্তু পরিবারের সবাই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আছে। একজন একজন করে পুরো এলাকাই আক্রান্ত হতে পারে।
অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ বলেন, এবার কিন্তু ঈদে এভাবে বাড়ি যাওয়ার ফলে সব জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দিতে পারে। কষ্ট করে আবার লোকজন জীবিকার জন্য কিন্তু ঢাকায় চলে আসছেন। এভাবে ঢাকা থেকে যাওয়া এবং একইভাবে ঝুঁকি নিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঈদের পর ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া মানুষ এ জন্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছে। এর ফলে ভয় কিন্তু একটাই, ঈদের এ যাওয়া-আসার ফলে আবার হয়তো সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে।
ওয়েবিনারের সঞ্চালক ড. মো. মুরাদ হোসেন ভারতীয় ধরন বা ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ জানান, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাস কিন্তু রূপ বদল করে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ ভ্যারিয়েন্টের চরিত্র হলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়া। যেকোনো বয়সের মানুষকে আক্রান্ত করে। কোনো প্রকার উপসর্গ ছাড়াই মানুষের শরীরের এ ভ্যারিয়েন্ট দেখা যায়।
ঢাকায় ফিরে আসার সময় বা পরে করণীয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘কাজের প্রয়োজনে সবাই ঢাকায় আসবেন।
ফিরে আসার সময় যত নিরাপদে আসা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। সরকার যদি দূরপাল্লার বাস চালু করে, তাহলে আমার মনে হয় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলে কমবে। আসার সময় অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও এ মহামারি থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব।’