ইসমাইল নয়ন ॥
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় এক কিশোরীকে (১৪) জোরপূর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে হাসান ওরফে জনি (১৮) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষনের মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামী হাসান ওরফে জনিকে বুধবার রাতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষনের শিকার হওয়া ওই কিশোরীকে গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা নারী ও শিশু আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন ওই কিশোরী।
গ্রেফতারকৃত হাসান ওরফে জনি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সিদলাই গ্রামের হেলাল মিয়ার ছেলে। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজহার, পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের নাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। হাসান ওরফে জনি আগে থেকে কিশোরীর সাথে পরিচয়। তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। গত মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরী বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। গভীর রাতে হাসান ওরফে জনি ওই ঘরে কৌশলে ঢুকে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এলে হাসান ওরফে জনি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে হাসান ওরফে জনি এর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ধর্ষনের মামলা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা নারী ও শিশু আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই মামলার আসামী হাসান ওরফে জনিকে বাড়িতে না পেয়ে পুলিশ ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে গত বুধবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষনের ঘটনায় হাসান ওরফে জনি নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের মামলা হয়েছে। ওই মামলার আসামী হাসান ওরফে জনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষনের শিকার হওয়া ওই তরুনী ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে আদালতে ২২ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন।
অপর দিকে, থানা পুলিশ উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাইঘর-হরিমঙ্গল রাস্তার অনন্তপুর পশ্চিমপাড়া ব্রীজের সামনে থেকে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ তেতাভূমি গ্রামের মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মোঃ কাউছার মিয়া (২৪) কে সাদা প্লস্টিকে মোড়ানো ১টি বান্ডিলে ৩ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করেন।
এছাড়াও একইদিন বিকেলে থানার এসআই শফিকুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের চান্দলা ভাঙা ব্রীজ এলাকা থেকে খাকি কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো ৮ কেজি গাঁজাসহ উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে রকিব (৩৮) কে গ্রেফতার করেন। পরে গ্রেফতারকৃতদের গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।