আর মাত্র ১০ দিন। এরপরই নিশ্চিত হয়ে যাবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে নাকি ভারতের বাইরে অনুষ্ঠিত হবে। কারণ, ২৯ মে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েই বিশেষ জরুরি সভায় বসতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
ভারতে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ঊর্ধ্বগতিতে প্রতিদিন প্রায় চার হাজার মানুষ ঢলে পড়ছে মৃত্যুর মুখে। এমন পরিস্থিতিতে মাঝপথে এসে আইপিএল স্থগিত করে দিয়েছে বিসিসিআই। প্রশ্ন উঠেছে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়েও। এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে, বিশ্বকাপের জন্য বিকল্প ভেন্যুরও চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই। এমন জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণ করতে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড।
গত বছরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। কিন্তু করোনার কারণে সেটা এক বছর পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঠিক করা হয়, চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে টুর্নামেন্টটি এবং আয়োজক দেশ ভারত।
এ ল্েয ৯টি ভেন্যুও ঠিক করে ফেলেছিল বিসিসিআই; কিন্তু এবার করোনার কারণে সেটা ভারতে আয়োজন নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। কারণ, যেখানে মাত্র আট দলের আইপিএল স্থগিত করতে হয়েছে বায়ো-বাবলের মধ্যেই করোনা ঢুকে পড়ার কারণে, সেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কীভাবে আয়োজন করবে ভারত? কীভাবে ৯টি ভেন্যুতে ১৬টি দেশকে ট্রাভেল করানো হবে, কীভাবে বায়ো-বাবল তৈরি করা হবে।
এসব নিয়েই আলোচনায় বসতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআই সচিব জয় শাহ একটি নোটিশ দিয়ে জানিয়েছেন, ভারতে ক্রিকেট মৌসুমের ভবিষ্যৎ কী হবে, সে নিয়েই আগামী ২৯ মে বৈঠকটি হবে। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হবে বৈঠকে।’
আগামী ১ জুন আইসিসির বৈঠক আছে। তার আগেই চলতি বছর ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন সম্ভব কি সম্ভব না, তা আইসিসি’র বৈঠকের আগেই ঠিক করে ফেলতে চান সৌরভ গাঙ্গুলি অ্যান্ড কোং।
ভারতে আয়োজন করা সম্ভব না হলে এরইমধ্যে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে উঠে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাম। যেখানে গত বছর সফলভাবে আইপিএল আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়াও বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব নিতে পারে। আগামী মাসের গোড়াতেই হয়তো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।