নিজস্ব
প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাসে দিনে শনাক্ত রোগী কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা
বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর শনিবার দিয়েছে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর, যা আগের দিনের চেয়ে ১২ জন বেশি।
শনিবার আরও ১ হাজার ২৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরে পড়ার কথা জানানো হয়েছে। এই সংখ্যা আগের দিন ছিল ছিল ১ হাজার ৫০৪।
তবে
এক দিনের ব্যবধানে নমুনা পরীা প্রায় ৬ হাজার কমেছে। শুক্রবার নমুনা পরীা
হয়েছিল ১৮ হাজার ২৯৪টি, সেখানে শনিবার নমুনা পরীা কমে দাঁড়ায় ১২ হাজার
২৩০টিতে।
নতুন আক্রান্তদের নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে
দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৬ জন। আর আরও ৩৮ জনকে নিয়ে করোনাভাইরাসে মৃতের
সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৩৪৮ জন।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ৭৫৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৯ হাজার ৭৯৮।
কোভিড-১৯
পরিস্থিতির আগের সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এক সপ্তাহে নমুনা
পরীা প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, তাতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ।
আর এক সপ্তাহে সুস্থতার হার ৪২ শতাংশ কমার সঙ্গে আবার মৃত্যুর হারও প্রায় ৯ শতাংশ কমেছে।
আর গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীা বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ শতাংশর উপরেই রয়েছে।
সর্বমোট শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বাংলাদেশে
করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ
পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল
রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন
পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা সাড়ে ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল
রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর আসে।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৬ কোটি ৫৮ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষের।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের ২৫ জন পুরুষ, আর নারী ১৩ জন। তাদের ৩২ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।
মৃতদের
মধ্যে ১৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের
মধ্যে, ২ জন করে মোট ৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০, ২১ থেকে ৩০ ও ১১ থেকে ২০ বছরের
মধ্যে এবং ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ১৬ জন
ঢাকা বিভাগের, ৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪ জন করে মোট ১২ জন রাজশাহী, খুলনা ও
সিলেট বিভাগের, ১ বরিশাল বিভাগের এবং ২ জন রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এ
পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৩৪৮ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৯২৮ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার
৪২০ জন নারী।