Published : Sunday, 23 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.05.2021 1:37:58 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ্ ইসরাইল কামিল নামে এক
মাদ্রাসার সেফটিকট্যাঙ্কি থেকে ৭বছরের শিশু উম্মে হাবিবা মীমের বস্তাবন্দী
লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মীম ভারেল্লা গ্রামের সিএনজি চালক শরীফের
মেয়ে। সে স্থানীয় ব্রাক স্কুলের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী ছিল । খবর পেয়ে পুলিশ
ও পিবিআইয়ের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন।
(২২ মে ২০২১)
শনিবার দুপুরে ভারেল্লা দণি ইউনিয়নের ভারেল্লা গ্রামের মাদ্রাসার পেছনের
সেফটিকট্যাঙ্ক থেকে লাশ উদ্ধার করে হত্যাকা-ে জড়িত সন্দেহে নিহত মীমের চাচা
ওই মাদ্রাসার দপ্তরি কইয়ুমকে (২১) আটক করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ ।
পারিবারিক
সূত্র জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে মীমকে মোবাইলের টাকা রিচার্জ করার
জন্য বাড়ি পাশে দোকানে পাঠানো হয়। এরপর থেকেই মীম নিখোঁজ ছিলো। অনেক
খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে বুড়িচং থানাতে একটি সাধারণ ডায়রি
করা হয়। শনিবার সকালে মীমের চাচা কইয়ুম ফোন করে পরিবারকে জানান, এক ফকির
বাবা বলেছে মীমকে মেরে সেফটিকট্যাঙ্কে ফেলা হয়েছে। আশেপাশে খুজলে লাশ পাওয়া
যাবে । পরবর্তীতে চাচা কইয়ুম নিজেই সাগর নামের আরেক শিশুকে নিয়ে
সিফটিকট্যাঙ্কের ভেতর থেকে লাশ তুলে সবাইকে জানান ।
নিহত মিমের দাদা
আব্দুল মান্নান জানান, আমরা ধারণা করছি কইয়ুম পরিকল্পিত ভাবে আমার নাতনীকে
ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রেখেছে। কয়েকমাস আগেও সে
মীমকে ধর্ষণের চেষ্টা করে । এ নিয়ে তার সাথে আমার ছেলের বৌয়ের কথা-কাটাকাটি
হয়।
ভারেল্লা দণি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামাল জানান, লাশ উদ্ধারের খবর
পেয়ে আমি পুলিশ সুপার ও থানার ওসিকে জানিয়েছি। তারা এসে তদন্ত করছে। সাত
বছরের নিষ্পাপ শিশু মীমকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু
বিচার চাই ।
আটক কাইয়ুম ওই মাদ্রাসায় দফতরীর কাজ করতো। মাদ্রাসার অধ্য
মোঃ ফরিদ আহমেদ জানান, কাইয়ুমের বাবা গত ৪০ বছর ধরে এ মাদ্রাসায় দফতরীর কাজ
করতেন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে অবসরে যায় কাইয়ুমের বাবা আবদুল মবিন। পরে
বাবা আবদুল মবিনের অনুরোধে পরবর্তী দফতরি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ১৫ শ টাকা
বেতনে মৌখিক নিয়োগে চাকরী করতো কাইয়ুম।
দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ
মামুন বিষযটি নিশ্চিত করে জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যাকা- বলেই বোঝা যায় ।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করেছি। ময়নাতদন্ত
শেষ জানা যাবে মীমকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা।
বুড়িচং থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা
হচ্ছে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণ বা অন্য কিছু ঘটেছে
কিনা তা পরে বলা যাবে। আমরা লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। এ
বিষয়ে তদন্ত শেষে পরে আরো বিস্তারিত বলা যাবে।