যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া সেই কৃষ্ণাঙ্গকে পুলিশের মারধরের ভিডিও প্রকাশ
Published : Sunday, 23 May, 2021 at 12:25 PM
জর্জ ফ্লয়েডের মর্মান্তিক মৃত্যুর স্মৃতি উসকে দিল লুসিয়ানা পুলিশের কাণ্ড। ট্রাফিক আইন ভাঙায় এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে ধাওয়া করছিল তারা। ভয় পেয়ে গাড়ির গতি আরও বাড়িয়ে দেন ওই ব্যক্তি। পরে পুলিশ দাবি করেছিল, গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছে। অথচ গাড়িতে দুর্ঘটনার চিহ্নমাত্র ছিল না, যা দেখে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন মৃত রোনাল্ড গ্রেনের পরিবার। বছর দুয়েক তদন্ত চলার পরই চিত্রনাট্যে এলো নতুন মোড়।
চলতি সপ্তাহে লুসিয়ানা পুলিশের বডি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া ঘটনাবলি সামনে আসে। তাতেই অভিযোগের তীর পুলিশের দিকে ঘুরে গেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্রেনের গাড়ি আটকায় লুসিয়ানার পুলিশ। তারপর তাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামানো হয়। সেই সময় বারবার ক্ষমা চাইতে শোনা যায় গ্রেনেকে। তিনি বারবার বলেছিলেন, “আমি ভয় পেয়ে পালাচ্ছিলাম। ক্ষমা চাইছি। ভুল হয়ে গেছে।” তবে তার আবেদনে কর্ণপাত করেননি পুলিশ সদস্যরা। উল্টো কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে তাকে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। কখনও পা ধরে টানতে টানতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কখনও চলেছে কিল-চড়-ঘুষি-লাথি।
এর ফলে গুরুতর জখম হয়েছিলেন গ্রেনে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালের মে মাসের ১০ তারিখে মৃত্যু হয়েছিল গ্রেনের।
স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন আমেরিকা নিবাসী কৃষ্ণাঙ্গরা। ভিডিও সামনে আসার পর তার পরিবারের আশা, দুবছর পর অন্তত উপযুক্ত বিচার পাবে গ্রেনে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের মারধরের জেরেই গ্রেনের হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছিল। এর জেরেই তার মৃত্যু হয়। ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই লুসিয়ানা পুলিশ মেনে নিয়েছে, গ্রেনেকে গ্রেফতারের সময় গায়ের জোর প্রয়োগ করেছিল তারা।