ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিলের রিট খারিজ
Published : Friday, 28 May, 2021 at 12:00 AM
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল করে নতুন মেধাতালিকায় ভর্তির নির্দেশনা চেয়ে করা একটি রিট আবেদন পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
পরে আইন কর্মকর্তা বিপুল বাগমার বলেন, “পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, কোনো পরীক্ষার্থীর ফলাফল নিয়ে অভিযোগ থাকলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করার সুযোগ আছে। আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সাত দিনের মধ্যে আবেদনটি নিষ্পতি করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তথ্য গোপন করে কোনো প্রার্থী যদি ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ নেন, চিহ্নিত হলে তাদের ভর্তি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে।”
গত ৪ এপ্রিল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য ৪ হাজার ৩৫০ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীকে নির্বাচিত করা হয়।
পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন উত্তীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯.৮৬ শতাংশ।
এ ফলাফল ‘ত্রুটিপূর্ণ’ দাবি করে তা সংশোধন ও নতুন মেধাতালিকা প্রণয়নের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিবসহ দুই কর্মকর্তার দপ্তরে উকিল নোটিস পাঠানো হয়।
২৪৮ পরীক্ষার্থীর পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। তাতে তিন দিনের মধ্যে জাবাব চাওয়া হয়েছিল সংশ্লিষ্টদের কাছে।
কিন্তু নোটিসের জবাব না পাওয়ায় আদালতের অনুমতি নিয়ে ৩২৪ পরীক্ষার্থীর পক্ষে গত ১৯ মে এ রিট আবেদনটি করা হয়। স্বাস্থ্যসচিব, শিক্ষাসচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে সেখানে বিবাদী করা হয়।
আইনজীবী হুমায়ন কবির সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ভর্তি পরীক্ষায় অন্তত দুটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তরপত্রে দুটি করে সঠিক উত্তর ছিল। পাশাপাশি অন্তত তিনটি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের কোনো সঠিক উত্তর ছিল না।
“প্রকাশিত ওই পরীক্ষার ফলাফলে অসংখ্য ভুল এবং বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। এসব ত্রুটি ও অসঙ্গতি রেখে মেধাতালিকা প্রণয়ন করার ফলে অনেক যোগ্য ও মেধাবী পরীক্ষার্থী মেডিকেল কলেজগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। এ কারণে রিট আবেদনটি করা হয়েছে।”
গত ২৪ মে রিট আবেদনের উপর প্রাথমিক শুনানি হয়। বৃহস্পতিবার আদেশে তা খারিজ করে দিল আদালত।