গত কয়েকটি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম করে চলেছেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত।
অস্ট্রেলিয়া সফরে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে দেশে ফিরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ খেলেছেন।
তার ব্যাটে ভর করেই ইংলিশদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জেতেন কোহলিরা।
পন্ত টেস্টে দ্রুততম এক হাজার রান করেছেন। উইকেটের পেছনেও দুর্দান্ত এই ক্রিকেটার। এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ১১ ডিসমিসাল রয়েছে তার। সব মিলিয়ে গত ৬ মাসে কোহলি-রোহিতদের ছাপিয়ে গেছেন ঋষভ পন্ত।
অথচ এই পন্তকেই নাকি জাতীয় দলে সুযোগ করে নিতে পোড়াতে হয়েছে অনেক কাঠখড়। এমনকি ক্ষমা চাইতে রাত সাড়ে ৩টায় কোচের বাসার দরজায় দাঁড়াতে হয়েছে তাকে।
পন্তের সেই হার না মানা সংগ্রামের গল্প জানালেন তার কোচ তারাক সিনহা। দিল্লির এই স্থানীয় কোচের অধীনেই ক্রিকেটার পন্তের বেড়ে ওঠা।
স্থানীয় গণমাধ্যমে ঋষভ পন্তের সেই সাধনার কথা জানিয়ে কোচ সিনহা বলেন, ‘দক্ষিণ দিল্লির বিখ্যাত সন্নেট ক্লাবের হয়ে খেলেছে পন্ত। সে ক্লাবের প্রধান কোচ ছিলাম আমি। ক্রিকেটে তাকে প্রচণ্ড শ্রম দিতে দেখেছি। একদিন নেট অনুশীলনে আমি ওর ওপর খুব হতাশ হয়েছিলাম। এতে সে পুরো রাত ঘুমাতে পারেনি। আমার বাসা থেকে তার বাসার দূরত্ব কম করে হলেও এক ঘণ্টার। সেদিন রাত সাড়ে ৩টায় সে আমার বাসায় এসে দরজায় নক করে। সে তার দিল্লির বাসা থেকে এক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে আমার বৈশালীর বাসায় এসেছিল।’
পন্তের এমন কাণ্ডে সেদিন অবাক হয়ে যান সিনহা। তবে খুব খুশিও হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘সেদিন আমার খুব ভালো লেগেছিল। কারণ কোচকে হতাশ দেখতে চাচ্ছিল না তার শিষ্য। তাই ক্ষমা চাইতে এসেছিল। গুরুর প্রতি শিষ্যের এমন ভালোবাসা বেশ উপভোগ্য। গভীর রাতে এমন একটি ঘটনা আমার হৃদয় স্পর্শ করে গিয়েছিল। ওর সঙ্গে কঠোর হয়েছিলাম বলে আমার পরিবারও আমার ওপর রাগ করেছিল সেদিন।’
প্রসঙ্গত, ঋষভ পন্তকে বলা হচ্ছে— ভারত তথা বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম ভবিষ্যৎ তারকা। ২০১৭ সালে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ভারত দলে অভিষেক হয় পন্তের। পরের বছরই পারফরম্যান্স দেখিয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে দলে ঠাঁই হয় তার। বর্তমান পারফরম্যান্সের কথা বিবেচনা করে অনেকেই ২৩ বছর বয়সী এ তারকাকে বিরাট কোহলির পর ভারতের অধিনায়ক ভাবছেন।
তথ্যসূত্র: স্পোর্টস উইকি