ভুটানে ছড়িয়ে পড়েছে আফ্রিকান ‘সোয়াইন ফিভার’। দেশটিতে শুকরের দেহে এ ভাইরাসের জীবাণু ধরা পড়েছে। এই ভাইরাস শুকরের দেহ থেকে দ্রুতই মানুষের শরীরেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ২৮ মে ভুটানের পক্ষ থেকে ভারতকে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
চিঠিতে ভুটানের স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়, ভারত-ভুটান সীমান্তের আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁ এলাকায় আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়িয়ে পড়েছে। ওই এলাকার ভুটান অংশে বেশ কয়েকটি খামারে ব্যাপকভাবে শুকর সোয়াইন ফিভারে আক্রান্ত হয়েছে। সীমান্তের ওই এলাকায় ভারতকেও টিকা দেয়াসহ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবগত করে ভুটান।
এদিকে, সোয়াইন ফিভার ছড়িয়ে পড়ায় ভুটানের বেশ কয়েকটি এলাকায় শুকরের মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের ভুটানঘেঁষা বিভিন্ন এলাকায়ও শুকর জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্র জানায়, ভুটানের চিঠি পাওয়ার পর সীমান্তের শুকরের খামারগুলো চিহ্নিত করে সোয়াইন ফিভার প্রতিষেধক টিকা দেয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার ও প্রাণিসম্পদ দফতর বিষয়টি তদারকি করছে।
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা গিরীশ চন্দ্র বেরা বলেন, ‘আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। শুকরের খামারগুলো চিহ্নিত করে টিকাকরণ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারতের অংশ কোনো শুকরের শরীরে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের জীবাণু পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘এই ফিভার শুকর থেকে মানুষের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এজন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’
আলিপুরদুয়ারের জেলা প্রশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা বলেন, ‘রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই প্রাণিসম্পদ দফতরের মাধ্যমে শুকর খামারগুলোতে টিকাদান শুরু হয়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।’