যশোরে আত্মসমর্পণ করতে যাওয়ার পথে আদালতের সামনে আইনজীবীর কাছ থেকে হত্যা মামলার এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৩০ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা জজ কোর্টের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যা মামলার ওই আসামির নাম রাজু বিশ্বাস ওরফে টুটু (৩৫)। তিনি যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী গ্রামের ভ্যানচালক শুকুর আলী হত্যা মামলার একমাত্র আসামি।
রাজু বিশ্বাসের আইনজীবী তাজমিলুর রহমান সরদার স্বপনের কাছ থেকে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আইনজীবী তাজমিলুর রহমান সরদার স্বপন জানান, গত ৩ এপ্রিল যশোরের অভয়নগরে পাওনা ৩০ টাকা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জের ধরে আসামি রাজু বিশ্বাসের রেঞ্জের আঘাতে শুকুর আলী আহত হন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় একমাত্র আসামি রাজু বিশ্বাস রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এসেছিলেন।
ওকালতনামা স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি শেষে আইনজীবী তাজমিলুর রহমান তাকে নিয়ে আইনজীবী সমিতি থেকে আদালতে যাচ্ছিলেন। জজ কোর্টের সামনের রাস্তায় পৌঁছাতেই ৫-৬ লোক তাদের ঘিরে ধরেন। এরপর তারা ধস্তাধস্তি করে রাজু বিশ্বাসকে একটি গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যান। আইনজীবী নিজের পরিচয় দিয়ে তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও তারা হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে যান।
তাজমিলুর রহমান আরও জানান, তিনি আদালতে গিয়ে বিচারককে বিষয়টি অবহিত করেছেন। পাশাপাশি রাজু বিশ্বাসকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পুলিশের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি।
প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল রাজু বিশ্বাসের ভ্যান-রিকশা গ্যারেজে যান ভ্যানচালক শুকুর আলী। সেখানে ভ্যান মেরামতের পাওনা ৩০ টাকা নিয়ে রাজুর সঙ্গে শুকুরের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রাজু উত্তেজিত হয়ে হাতে থাকা রেঞ্জ দিয়ে শুকুর আলীর মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শুকুর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রাজু বিশ্বাসের নামে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে রাজু বিশ্বাস পলাতক ছিলেন।