খাটের নিচে, আলমারিতে, রান্না ঘরের বক্সের মধ্যে সব জায়গায় নগদ পাউন্ড রাখা। যুক্তরাজ্যের তিনটি ফ্লাটে এভাবে অর্থ রেখেছিলের অর্থ পাচারকারীরা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের কয়েকটি ফ্লাট থেকে ৫ মিলিয়নেরও বেশি পরিমাণ পাউন্ড (৭ মিলিয়ন ডলার) খুঁজে পায় পুলিশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৯ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ ঘটনার তদন্তকারী পুলিশ জানায়, এতো পরিমাণ অর্থ রাখার অপরাধে তিন জন অর্থপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। তারা তাদের ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ৫ মিলিয়ন পাউন্ড লুকিয়ে রাখা ছিল। দীর্ঘ সময় ধরে ঘরে রাখার কারণে এই অর্থে ময়লা জমে যায়। আটক তিনজন এই অর্থের উৎসের হিসাব দিতে পারেননি।
ধারণা করা হচ্ছে, এই অর্থ তারা তাদের নিজ দেশ থেকে এনেছেন এবং এই দলটি যুক্তরাজ্যের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ একটি দল সাদা পোশাক পরে রাস্তায় ডিউটিতে ছিল। তখন তারা দেখেন রাসলেন নামের ৩৬ বছরের একজন খুব ভারী একটি ব্যাগ তার গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছিলেন। তখন পুলিশের সন্দেহ হলে তল্লাশি করে ব্যাগ ভর্তি পাউন্ড খুঁজে পান। এ ঘটনা গত বছরের ৫ জুনের।
পরবর্তীতে বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত শুরু হলে দেখা যায়, দশজনের একটি বড় গ্যাং এই অর্থ পাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একইসঙ্গে এই অর্থ রাশিয়ার একটি বন্দুক ও নেশাজাতীয় পণ্য সিন্ডিকেটের অর্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে তদন্তে উঠে আসে।
এরপর কয়েকটি ফ্লাটে অভিযান চালায় পুলিশ। যেখান থেকে হ্যাকনির গ্লিনিস্টার রোডের উজবেকিস্তানের নাগরিক সামসাদিনোর নামের এক জনের ঘর থেকে ৪৮ হাজার পাউন্ড উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নর্থ লন্ডনের একটি এলাকা থেকে আহমেদ নামের একজনকে আটক করা হয়। যেখান থেকে পাওয়া যায় ৫৯ হাজার পাউন্ড। এরপর ইরানি নাগরিক ইসলামের ফ্লাট থেকে উদ্ধার করা হয় ১ লাখ ৯৮ হাজার ৬০০ পাউন্ড। মোট দশটি ফ্লাট থেকে ৫০ লাখ ৮০ হাজার পাউন্ড উদ্ধার করে পুলিশ।