মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মা নদীতে ট্রলার ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৯ মে) রাত ১১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় উপজেলার পদ্মার পালের চর এলাকায় স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে তিন ছিনতাইকারী আহত হন। অপরজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
মৃত মো. ফয়সালের (৩৫) বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়। আহত অপর দুজন হলেন কালকিনির আবদুল জলিল ও কুমিল্লার জসিম উদ্দিন। ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার (৩০ মে) সকালে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে নৌ-পুলিশ। বাকি দুজন লৌহজং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নৌ-পুলিশের হেফাজতে চিকিৎসাধীন।
মাওয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সিরাজুল কবির বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার শিমুলিয়া ৪ নম্বর ভিআইপি ফেরিঘাট থেকে চার ব্যক্তি পদ্মা নদীতে ঘুরবেন বলে দুই হাজার ৫০০ টাকায় মাঝি আমিনুলের ট্রলার ভাড়া করেন। পদ্মার পালের চরে গেলে মাঝির হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ট্রলারটি ছিনতাই করেন। পরে মাঝিকে বালুর চরে ফেলে যান।
স্থানীয় জেলেরা ঘটনাটি দেখে মাঝিকে উদ্ধার করেন। সেই সঙ্গে ট্রলারকে ধাওয়া করেন। তারা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করলে নৌ-পুলিশ তিন ছিনতাইকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় এক ছিনতাইকারী পালিয়ে যান।
তাদের নদীর পাড়ে নিয়ে এলে গণপিটুনি দেয় স্থানীয় জনতা। এতে গুরুতর আহত হন। তাদের পুলিশের হেফাজতে লৌহজং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ফয়সালের মৃত্যু হয়। বর্তমানে দুই ছিনতাইকারী ও ট্রলার মাঝি চিকিৎসাধীন আছেন।
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে এক ছিনতাইকারীর মৃত্যু হয়েছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে ট্রলারটি নিয়ে গেলেও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুরের জাজিরায়। মরদেহ এবং ছিনতাইকারীরা নৌ-পুলিশের হেফাজতে আছে।