ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার ৫ আন্তঃজেলা ডাকাত
Published : Monday, 31 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 31.05.2021 1:18:11 AM
সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার ৫ আন্তঃজেলা ডাকাত চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার পশ্চিম ধনমুড়ি থেকে ঢাকা টোবাকো লিমিটেডের ১৩ লাখ টাকা মূল্যের সিগারেট লুটকারী ঢাকাতদলের ৫ সদস্যকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করেছে পুলিশ।সিসি টিভির ফুটেজ দেখে এবং প্রযুক্তি ব্যবহার পুলিশ অভিযান পরিচারনা করে। চলতি বছরের ১৮ মার্চ গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদল ঢাকা টোবাকো লিমিটেডের চৌদ্দগ্রামের ধনমুড়িস্থ ডিপো থেকে সিগারেটগুলো লুটে নেয়। এ ঘটনায় ওই দিন কোম্পানীর চৌদ্দগ্রাম ডিপো ইনচার্জ এস এম তোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালিন পরিদর্শক অপারেশন আবুল বশার। মামলা রজু হওয়ার সময় ও তার পরবর্তিতে কোন ক্লু পাচ্ছিল না থানা প্রশাসন।পরবর্তীতে ডিপোর সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করে রুটের ক্লু পায় পুলিশ।ফুটেজে দেখা যায়, আইচার পরিবহনের একটি হলুদ নীল রঙের পিকআপে করে লুণ্ঠিত মালামাল ডাকাতদল নিয়ে যায়। এ সূত্র ধরে এগুতে থাকে পুলিশের একটি টিম। এরই মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক অপারেশন আবুল বশার বদলি হয়ে যাওয়ায় মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় থানার বর্তমান পরিদর্শক তদন্ত ত্রিনাথ সাহা। এ সময় তিনি মামলার একমাত্র ক্লু আইচার পরিবহনের হলুদ নীল রঙের অজ্ঞাতনামা পিকআপটি শনাক্ত করতে সক্ষম হন। এরই সূত্র ধরে ৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় ওই এলাকা থেকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মোহাম্মদ আলী(৪০) কে, চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আমিনুল ইসলাম(৩২) কে রিয়াজ উদ্দিন বাজার থেকে গ্রেফতার করে। দুজনই সিগারেট বিক্রেতা। গ্রেফতারকৃত দুজনের দেয়া তথ্যমতে ৫ মে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ সদর দক্ষিণ থানা পুলিশের সহায়তায় নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার সেলিম(৩১) কে সদর দক্ষিণ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার থেকে একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সেলিম পুলিশকে সিগারেট লুণ্ঠনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয় এবং জড়িত কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। এ ঘটনায় পুলিশ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির শাহাদাত হোসেন(২৮)কে গত ২৪ মে নোয়াখালী থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মোস্তফাকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক তদন্ত ত্রিনাথ সাহা রোববার জানান, গ্রেফতারকৃতরা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য। এ ডাকাতদল দেশের বিভিন্নস্থানে নামী-দামী ব্র্যান্ডের সিগারেট কোম্পানীর ডিপোতে ডাকাতি করে থাকে। এরা প্রথমে খোঁজ নেয়, কোথায় কোথায় নামী-দামি ব্র্যান্ডের সিরাগেটের ডিপো রয়েছে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে রেকি করে। এরপর সুবিধাজনক সময় অনুযায়ী ডিপোতে ডাকাতি করে এ চক্র। এদের নিজস্ব পরিবহন থাকে। আর এ পরিবহনে তারা বিভিন্ন ভুয়া নাম্বার প্লেট ব্যবহার করে থাকে।
ত্রিনাথ সাহা আরও জানান, চক্রটি লুণ্ঠিত মালামালগুলো চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন বাজার, নারায়নগঞ্জ ও ঢাকায় নিজস্ব দালালের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। কিভাবে ডাকাতচক্র শনাক্ত হলো-এ প্রশ্নের উত্তরে ত্রিনাথ সাহা জানান, চক্রটি শনাক্ত করতে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের সিএমপি পুলিশের সহায়তায় মহাসড়কের সিসিটিভি ফুটেজগুলো সংগ্রহ করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায়, আইচার পরিবহনের পিকআপটি একাধিকবার মহাসড়কে যাতায়াত করে। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতচক্রের কিছু সদস্যকে গ্রেফতার করলে মামলার রহস্যজট খোলা সক্ষম হয়।