দেড়
মাসে আরও এক লাখ মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে মোট
শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সোমবার
জানিয়েছে, গত এক দিনে দেশে আরও ১ হাজার ৭১০ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তাতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮ লাখ ৫৪০ জন। করোনাভাইরাসে
আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে গত এক দিনে। এদের নিয়ে দেশে
করোনাভাইরাসে মোট ১২ হাজার ৬১৯ জনের মৃত্যু হল।
সরকারি হিসাবে, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ১ হাজার ৫৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৪০ হাজার ৩৭২ জন।
গত
বছর ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ২০
ডিসেম্বর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এরপর ৯৯ দিনে আরও এক লাখ
রোগী শনাক্ত হওয়ায় ২৯ মার্চ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছয় লাখ ছাড়ায়।
ততদিনে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ, দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে হু হু করে।
মাত্র
১৬ দিনে আরও এক লাখ মানুষের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়লে দেশে শনক্তি রোগীর
সংখ্যা ১৪ এপ্রিল সাত লাখ পেরিয়ে যায়। এর মধ্যেই গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭
হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা সাত লাখ
থেকে আট লাখে পৌঁছতে সময় লেগেছে ৪৭ দিন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে
দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন এপ্রিলের তুলনায় কমে এলেও ওই সংখ্যা এখনও এক
থেকে দুই হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী
শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ১১ মে তা ১২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯
এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে
শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ১৭ কোটি ৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃত্যু
হয়েছে ৩৫ লাখ ৪২ হাজারের বেশি মানুষের। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,গত ২৪
ঘণ্টায় সারা দেশে ৫০৩টি ল্যাবে ১৮ হাজার ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ
পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৫৯ লাখ ৪৭ হাজার ৫১৩টি নমুনা।
সোমবার নমুনা
পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের
হার ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ
এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের
২৫ জন পুরুষ আর নারী ১১ জন। তাদের ২৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ৬ জন বেসরকারি
হাসপাতালে এবং ২ জন বাড়িতে মারা যান।
তাদের মধ্যে ১৮ জনের বয়স ছিল ৬০
বছরের বেশি, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর
এবং ৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা
বিভাগের, ১২ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন খুলনা
বিভাগের এবং ১ জন সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
এ পর্যন্ত মৃত ১২ হাজার ৬১৯ জনের মধ্যে ৯ হাজার ১১৩ জন পুরুষ এবং ৩ হাজার ৫০৬ জন নারী।