ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এবার গ্রিক বর্ণমালায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর নাম
Published : Tuesday, 1 June, 2021 at 1:37 PM
এবার গ্রিক বর্ণমালায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর নামএবার গ্রিক বর্ণমালা অনুসারে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর নামকরণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

যুক্তরাজ্যে গতবছরের শেষ দিকে ভাইরাসের যে ধরনটি ছড়াতে শুরু করেছিল, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটির নাম হয়েছে ‘বেটা’। আর করোনার ভারতীয় ধরনকে ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
 
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই নামকরণ পদ্ধতির ঘোষণা দিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
 
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে আলোচনা সহজ করার জন্যই নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন করা হয়েছে বলে সংস্থাটি বলছে।

ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরনটিকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলা নিয়ে এ মাসের শুরুতেই আপত্তি জানিয়েছিল দেশটির সরকার।

ইতোমধ্যে যে যে লেখায় বা পোস্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো বাদ দিতে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে সোশাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষগুলোকে বলা হয়েছিল।

নতুন নামকরণ পদ্ধতি ঘোষণার পর ডব্লিউএইচওর কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ফন কারখোভ এক টুইটে লিখেছেন, ‘নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা বা সে কথা জানানোর জন্য কোনো দেশকে কালিমা লিপ্ত করা উচিত নয়।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে নতুন নামের পূর্ণ তালিকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ‘ভ্যারিয়েন্টস অব কনসার্ন’ এবং ‘ভ্যারিয়েন্টস অব ইন্টারেস্ট’ এই দুটো ক্ষেত্রেই গ্রিক হরফ ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম স্ট্যাট নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মারিয়া ফন কারখোভ বলেছেন, ভাইরাসের বিদ্যমান বৈজ্ঞানিক নাম ঠিকই থাকবে। পাশাপাশি গ্রিক বর্ণমালাগুলো থেকে দেওয়া নতুন নাম ব্যবহার করা হবে আলোচনার সুবিধার জন্য।

গ্রিক বর্ণমালায় হরফ আছে ২৪টি। যদি ভাইরাসের ২৪টির বেশি ধরন শনাক্ত হয় এবং ব্যবহারের জন্য আর কোনো গ্রিক হরফ না থাকে তখন নামকরণের নতুন পদ্ধতি ঘোষণা করা হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড–১৯–বিষয়ক কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ফন কেরখোভ বলেছেন, কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে কোনো দেশকে দায়ী করা উচিত নয়।  ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনার ধরনটির নাম এখন থেকে হবে ‘ডেলটা’।  তবে এর ফলে ধরনটির বৈজ্ঞানিক নামে (বি.১.৬১৭) কোনো পরিবর্তন আসবে না। বিজ্ঞানবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও গবেষণায় এটির বৈজ্ঞানিক নামটি ব্যবহৃত হবে।