ঢাবিতে চূড়ান্ত পরীক্ষা ১ জুলাই থেকে
Published : Wednesday, 2 June, 2021 at 12:00 AM
আগামী
১ জুলাই থেকে সশরীরে বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো নেবে ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আবাসিক হলগুলো বন্ধই থাকবে।
তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে, অর্থাৎ সশরীরে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে
আগামী ১ জুলাই থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষা বাদে সব চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে
নেওয়া শুরু হবে৷ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নেওয়ার সর্বোচ্চ ফোরাম শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল)
বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে সভা অনুষ্ঠিত হয়৷
বিজ্ঞাপন
সভা
শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের
সেশনজট নিরসনের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের স্থগিত সব পরীক্ষা
আগামী ১৫ জুন থেকে সশরীরে নেওয়া হবে৷ নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ
করে আবাসিক হল না খোলার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিভাগ-ইনস্টিটিউটগুলো এসব পরীক্ষা
নেবে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব পরীক্ষা নেওয়া হবে৷
বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, হল না খুলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সশরীরে সব সেমিস্টার ফাইনাল,
বার্ষিক কোর্স ফাইনাল ও ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে আগামী ১
জুলাই থেকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে, অর্থাৎ সশরীরে
পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে ব্যবহারিক পরীক্ষা ছাড়া অন্য সব চূড়ান্ত
পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া হবে৷
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় সেশনজট নিরসন
এবং শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষতি পুনরুদ্ধার
পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় সেমিস্টার পদ্ধতির
ক্ষেত্রে পরীক্ষাসহ সেমিস্টারের সময়সীমা ৬ মাসের পরিবর্তে ৪ মাস এবং
বার্ষিক কোর্স পদ্ধতির ক্ষেত্রে ১২ মাসের পরিবর্তে ৮ মাস করার সিদ্ধান্ত
নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশসহ পরীক্ষার শিফট
সংখ্যা বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সভায়৷
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের
সভাপতিত্বে শিক্ষা পরিষদের এই সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য
(প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম
মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের
ডিন, বিভাগগুলোর চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউটগুলোর পরিচালকসহ একাডেমিক
কাউন্সিলের ২৭৮ জন সদস্য যুক্ত ছিলেন।