দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে জমি নিয়ে বিরোধে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই ইয়াকুব আলীকে (৪২) শ্বাসরোধে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে বড় ভাই জাবেদ আলী পলাতক রয়েছে।
বুধবার (২ জুন) সকাল ৯টায় উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ঠাকুরের হাট উত্তর পলাশবাড়ীর মাওলানা পাড়ায় একটি আম গাছ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত ইয়াকুব উপজেলার উত্তর পালাশবাড়ী মাওলানা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
নিহতের স্ত্রী আর্জিনা বেগম বলেন, জাবেদ আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল ইয়াকুব আলীর। এর আগেও জাবেদ ও তার জামাই মিলে তাকে কয়েকবার পিটিয়ে আহত করেছিল। এ বিষয়ে থানায় মামলাও করা হয়।
গত মঙ্গলবার (১ জুন) দিবাগত রাতে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তায় জাবেদ আলী লোকজনসহ ইয়াকুব আলীকে আটক করে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর জাবেদের বাড়ির সামনের একটি আম গাছের সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত সরকার বলেন, সকালে স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ইয়াকুব আলীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের বড় ভাই জাবেদ আলী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।