ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যিই অমানবিক। সেখানে শিশুদের কান্না, মাতৃ-পিতৃহারা হয়ে ঘুরে বেড়ানো—এটা সহ্য করা যায় না। ইসরায়েল এর আগেও একের পর এক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। আমরা এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দাও জানিয়েছি। আমি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সব সময় আছি।’
বুধবার (২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রয়াত আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু ও ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আসলামুল হকের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা শেষে সংসদে শোক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বহু সংস্থা এখন আর কথা বলে না, সেটাই আমার প্রশ্ন। তবে আমরা সব সময় সহযোগিতা করছি, অতীতেও করেছি এখনো করে যাচ্ছি। আগামীতেও অবশ্যই করে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে জীবনটাই হয়ে গেছে এমন; কবে কে কখন থাকে আর নাই হয়ে যায়, এটার কোনো হিসাব নেই। আর বিশেষ করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউটি যখন এলো আমরা আবার চেষ্টা করলাম সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের বর্ডার জেলাগুলোতে আবার দেখা দিয়েছে। সেখানে আবার আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমি সবাইকে বলব, যেন স্বাস্থ্যবিধিটা সবাই মেনে চলে। এটা বাংলাদেশের সব মানুষের কাছে আমাদের একটা আহŸান থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকাদান থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। তাছাড়া নিজেরা সুরক্ষিত থাকতে হবে। এটাই চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামীকাল বাজেট অথচ শুরু করতে হলো আমাদের শোকের মধ্য দিয়ে। আমি আবদুল মতিন খসরু, আসলামুল হকসহ যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আলাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে বেহেশতে নসিব করুক। আর তাদের পরিবারের প্রতি শোক জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না। কিন্তু সেই বিচার চাওয়ার অধিকারের চেষ্টা করেছেন আবদুল মতিন খসরু। অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন যারা, কামরুল ইসলামসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। মতিন খসরুর জন্য দোয়া করি। বঙ্গবন্ধুর বিচারের মামলা করাটা খুব সহজ ছিল না। অনেক বাধা ছিল। কিন্তু তারপরও তিনি (খসরু) দিন-রাত পরিশ্রম করেছিলেন, সে কথা সব সময় স্মরণ করি। আমি সবার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সংসদ সদস্যসহ সব বাংলাদেশিকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার আহŸান জানাই।’