অপহরণের আট দিন পর মুক্তিপণের মাধ্যমে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেলো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন (২৫) কে। তিনি পেশায় ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসায়ী।
সোমবার (৮ জুন) দিবাগত রাতে অপহরণকারীদের তথ্যের ভিত্তিতে রমনা থানাধীন হলি ফ্যামেলি হাসপাতালের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতাল নেওয়া হয়।
আকরাম মঠবাড়িয়া সদর উপজেলার ভবেরচর গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে ৪২ নম্বর কাঁঠালবাগানে পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন।
ঐ ব্যবসায়ীর বড় ভাই মামুন বলেন, গত ৩১ জুন কাঁঠালবাগানের বাসা থেকে কাজে কারওয়ান বাজারের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফেরেনি আকরাম। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরেরদিন (১ মে) কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
গত শনিবার অপরিচিত নাম্বার থেকে তার (আকরাম) খালাতো ভাইয়ের মোবাইলে এক ব্যক্তি ফোনে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন এবং বলেন, টাকা দিলে সুস্থভাবে ফেরত পাবে। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া একটি নম্বরে ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর থেকে তাদের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।
গত সোমবার (৭ জুন) রাতে আবারও ফোন আসে। তারা জানান, হ্যালি ফ্যামেলির পাশে গেলে আকরামকে পাওয়া যাবে। এরপরই নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আমরা সেখানে গিয়ে খোঁজাখুঁজির পর রাস্তার পাশ থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় পাই। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, অচেতন অবস্থায় আকরামকে রাতে ঢামেক হাসপাতালের নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসকরা তাকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
মঙ্গলবার (৮ জুন) সকালে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আকরামের বড় ভাই মামুন’র সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ঢামেকে প্রাথমিক চিকিৎসার (স্টোমাক ওয়াশের) পর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও জ্ঞান ফিরেনি।
তিনি বলেন, সংবাদ পেয়ে কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জিহাদ তার তথ্য সংগ্রহ করেন এবং খোঁজখবর নেন।