১২ ওভারে ৮১। কার্টেল ওভারের ম্যাচ হিসেবে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের পুঁজিটা খুব বড় ছিল না। কিন্তু মিরপুরে ৮২ রানের লক্ষ্যও তাড়া করতে পারল না শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব, হারল ১৪ রানে।
মূলত নাবিল সামাদের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়েছে শাইনপুকুর। ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি, যার মধ্যে তিনটি উইকেটই নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
এরপর অষ্টম ওভারে এসে ২৫ রানে যখন ৫ উইকেট হারিয়েছে শাইনপুকুর, ম্যাচ তখন তাদের হাত থেকে ছুটেই গেছে। কিছুটা চালিয়ে খেলেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। কিন্তু তার ২৩ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় গড়া ৩০ রানের ইনিংসটি দলের কাজে লাগেনি। ৬ উইকেটে ৬৭ রানে থামে শাইনপুকুর।
২ ওভার বল করে মাত্র ১ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন নাবিল। এর মধ্যে একটি ওভার আবার মেইডেনও নিয়েছেন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট, তারওপর আবার কার্টেল ওভারের ম্যাচ, আসলেই অবিশ্বাস্য বোলিং!
এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ব্যাটসম্যানরাও সেভাবে সুবিধা করতে পারেননি। বৃষ্টির কারণে ১২ ওভারে পরিণত হওয়া ম্যাচে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৮১ রান।
এই রানটাও হতো না হয়তো, শেষ ৫ ওভারে ৪৬ রান যদি না উঠতো। সানজামুল ইসলাম (১৭ বলে ২৪), সোহাগ গাজী (৭ বলে ১৩) আর নাঈম ইসলাম (১৩ বলে অপরাজিত ১৮) শেষদিকে হাত খুলে খেলে দলকে মোটামুটি একটা লড়াই করার মতো পুঁজি এনে দেন।
শাইনপুকুর বোলারদের তোপে ৯ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল রূপগঞ্জ। মেহেদি মারুফ (১), আজমীর আহমেদ (৫) আর জাকের আলি (০) দ্রুতই সাজঘরের পথ ধরলে হাল ধরেছিলেন সাব্বির-সানজামুল।
কিন্তু সাব্বিরের ইনিংসটা মোটেই টি-টোয়েন্টির সঙ্গে মানানসই ছিল না। একটি ছক্কা হাঁকালেও ২০ বল খেলে মাত্র ১৬ রান করেন হার্ডহিটার এই ব্যাটসম্যান। ফলে রূপগঞ্জের ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত তেমন বড় হয়নি।
শাইনপুকুর বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল সুমন খান। ডানহাতি এই পেসার ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ২ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেট শিকার করেন রবিউল হক।