ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
বাস্তবতা টের পেলেন সেরেনা
Published : Tuesday, 8 June, 2021 at 1:53 PM
বাস্তবতা টের পেলেন সেরেনাএটাই বাস্তবতা। সারাটা জীবন একই স্রোতধারায় কাটবে না। নায়ক-নায়িকা, গায়ক-গায়িকা কিংবা খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স সারাজীবন একই গতি ধারায় যায় না। একটা সময় পথচ্যুত হবেই। ছন্দপতনের এই দুনিয়ায় কেউ যে স্থায়ী হয় না সেটা ভালোই টের পেয়েছেন টেনিস দুনিয়ার তারকা খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস। ফরাসি টেনিসে নারী লড়াইয়ের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল হতে যুক্তরাষ্ট্রের সেরেনাকে বিদায় নিতে বাধ্য করেছেন রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া কাজাখাস্তানের এক অখ্যাত খেলোয়াড়, তার নাম এলিনা রিবাকিনা। রবিবার সরাসরি সেটে ৬-৩, ৭-৫ গেমে সেরেনাকে হারান এলিনা রিবাকিনা।

সেরেনার অশ্রুসিক্ত বিদায়

১৯৯৮ সালে সেরানা যখন তার ক্যারিয়ারে প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ে করেছিলেন তখন এই রিবাকিনার জন্মই হয়নি। পরের বছর জন্ম নেয়া রিবাকিনার বয়স এখন ২১। তার বয়সের চেয়ে সেরেনা গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয় করেছে ২৩টি। এমন সব খেতাব অর্জন করা তারকা সেরেনা ফরাসি ওপেনের কোর্ট রোলা গাঁরোতে নামার সঙ্গে সঙ্গে রীতিমতো তুড়ি মেড়ে উড়িয়ে দিয়েছেন।

আইস স্কেটিং আর জিমন্যাস্টিকস ছেড়ে ছোট্ট রিবাকিনা টেনিসে পা রাখেন। ২০১৯ সালে পেশাদার টেনিস শুরু। ২০২০ সালে শীর্ষ ১০০ খেলোয়াড়ের তালিকায় উঠেন। আর ২০২১ সালে সেরানাকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিলেন।


প্রথম রাউন্ড হতেই এই রিবাকিনা দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথম থেকে তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত সরাসরি সেটে জিতে আসছিলেন রিবাকিনা। প্রতিপক্ষ হিসেবে সামনে যাকেই পাচ্ছিলেন তাকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। চতুর্থ রাউন্ডে সেরেনা পাহাড় হয়ে সামনে দাঁড়াবেন এটা সবার জানা ছিল। সেই পাহাড় টপকাতে পারবেন সেটাও অনুমিত ছিল। কিন্তু কোটের লড়াইয়ে সেরানাকে দাঁড়াতেই দেননি রিবাকিনা। সরাসরি জয়ের স্কোর লাইনটা দেখলে বলা যায় সেরেনাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন।

তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় সাত বারের চ্যাম্পিয়ন সেরেনা

রিবাকিনা উচ্চতায় ছয় ফুট লম্বা। ঘণ্টায় ১৯২ কিলোমিটার গতিতে সার্ভ করেন। ফোরহ্যান্ড, ব্যাকহ্যান্ড, কোর্টের যে কোনো কঠিন জাগায় হতে বল ফেরানোর দক্ষতা নজর কাড়া। অনেক সময় রিবাকিনার সার্ভ ফেরাতে গিয়ে বিশ্ব টেনিস তারকা সেরেনার দম বেরিয়ে যাচ্ছিল। মুখে না বললেও কোর্টে তার মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছিল কতটা কষ্ট হচ্ছে।