গত ৭ মে সন্ধ্যায় সাভারে বিভিন্ন দোকান থেকে পাওনা টাকা আদায়ে বের হন ব্যবসায়ী আহসান হাবিব। পরদিন ৮ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তিনি।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে, ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের শরীরে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মো. নুরুন নবী ওরফে রনির (২৭) কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা পেতেন। আর এই পাওনা টাকা চাওয়ার জেরেই ব্যবসায়ী হাবিবকে খুন হতে হয়।
নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তিকে ৭ মে কালিয়াকৈর থানার হরিনহাটি এলাকার একটি বাসার নিচতলায় আগুনে দগ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ব্যক্তিরা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। পরের দিন অর্থাৎ ৮ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসান হাবিব হাসপাতালে মারা যান। নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর (১১ মে) আহসান হাবিবের মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহসান হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় তার শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনা সংঘটনের পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। গতকাল সোমবার (৭ জুন) রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে এজাহারনামীয় এক নম্বর আসামি মো. নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর আরও বলেন, নুরুন নবীর কাছ থেকে নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিব ২০ লাখ টাকা পেতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে রনি তার আরও তিনজন সহযোগীকে নিয়ে আহসান হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে তারপর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।