ব্রাজিলের নাজুক করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝেই সেখানে কোপা আমেরিকার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হতবাক করেছে অনেককে। ব্রাজিলসহ আরও কয়েকটি দেশের খেলোয়াড়রাও সেখানে খেলতে আপত্তি জানিয়েছে। তবে, এমন দুরূহ পরিস্থিতিতেও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আপত্তি নেই আর্জেন্টিনার।
আগামী ১৩ জুন শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে নিজেদের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।
শুরুতে দুই দেশের যৌথ আয়োজনে হওয়ার কথা ছিল এবারের আসর। কিন্তু কলম্বিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং আর্জেন্টিনায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দেশ দুটি থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়।
এরপর হুট করেই ব্রাজিলকে আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। কিন্তু ব্রাজিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি তুলনামূলক আরও বেশি খারাপ। আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় তারা দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে এবং বিশ্বে দ্বিতীয়।
ব্রাজিলের জাতীয় দলের পক্ষ থেকে এখনও সরাসরি কিছু না বলা হলেও গণমাধ্যমের খবর, তারা খেলতে চায় না এই আসরে। ফুটবল পাগল দেশটির জনসাধারণও আসরটির আয়োজক হওয়ার ব্যাপারটি ভালোভাবে নেয়নি। ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে ঘোষিত বিখ্যাত মারাকানা স্টেডিয়ামের বাইরে ব্যানার ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘কোপা আমেরিকা নয়, করোনাভাইরাসের টিকা চাই।’
ব্রাজিলে খেলার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন কলম্বিয়া দল ও উরুগুয়ের কয়েকজন খেলোয়াড়। এ বিষয়ে আর্জেন্টিনা দলের অবস্থান নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা ছিল। রোববার সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল দেশটির ফুটবল সংস্থার (এএফএ) বিবৃতিতে।
“ফুটবল ইতিহাসে দলটি যে ক্রীড়া চেতনা দেখিয়েছে তার আলোকে কোপা আমেরিকা-২০২১ এ আর্জেন্টিনার অবশ্যই অংশ নেবে।”
আর্জেন্টিনা দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বলা হলেও দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেছেন, তারা অংশ নিতে চান। যদিও তার কণ্ঠে উদ্বেগের ছাপ।
“নিশ্চিতভাবেই, ব্রাজিলের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আমাদের মতোই, অথবা এর চেয়েও খারাপ।”
“সেই বিবেচনায়, সেখানে খেলতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে একমত হওয়া কঠিন। তারপরও আমাদের সেখানে যেতে হবে। আমরা খেলব এবং কোপা আমেরিকা অভিযান যতটা সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করব। তবে, অজানা অনেক সমস্যা আছে।”