মজিবুর রহমান বাবলু।। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হোটেলে যাত্রাবিরতিকালে বাস থেকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তা পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনিসুজ্জামান খানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ঢাকা উত্তরা আবাসিক এলাকার ১০নং সেক্টরের ১১নং রোডের ৪৯নং বাসার মৃত জোয়াহের আলীর পুত্র। ড. আনিসুজ্জামান(৬৭) পদ্মা মাল্টিপারপাস ব্রীজ প্রজেক্টে বায়োডাইভারসিটি কনভারসেশান অফিসার এবং একজন পরিবেশবিজ্ঞানী ছিলেন। বর্তমানে ঢাকা ধানমন্ডির ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের সদস্য বলে জানান তাঁর স্ত্রী সাকিবা খাতুন। মঙ্গলবার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
বাস যাত্রীদের বরাত দিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সোমবার বিকেল ৩টার বাসে ওঠেন ড. আনিসুজ্জামান খান নামের ওই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে তিনি ঘুমিয়ে যান। ঘুমের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে এটা স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হয়েছে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা আরও জানান, সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মিয়াবাজার এলাকার টাইমস্ স্কয়ার নামের হোটেলে যাত্রাবিরতি করে সৌদিয়া পরিবহনের চট্টগ্রামগামী একটি বাস(চট্টমেট্রো-ব-১১-১০৫৭)। বাসের লোকজন যাত্রীর কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে খবর দিলে আমরা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে তার থেকে পাওয়া কাগজপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে ঠিকানা শনাক্ত করা হয়। ড. আনিসুজ্জামান খান ব্যক্তিগত জীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
ড. আনিসুজ্জামান খানের স্ত্রী সাকিবা খাতুন জানান, ‘তিনি ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে মাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর সংবাদটি পাই। পরবর্তীতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মঞ্জরুল হকের সহযোগিতায় লাশটি ঢাকায় পৌঁছে দেয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নামাজে জানাযা শেষে তাকে উত্তরা ১০নং সেক্টরের কবরস্থানে দাফন করা হয়’।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মঞ্জুরুল হক জানান, ‘আমার এক ব্যাচমেট ড. আনিসুজ্জামানের আত্মীয়। তাঁর মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তরে সহযোগিতা করা হয়’।