জাতিসংঘের মহাসচিব পদে আন্তোনিও গুতেরেসকে আরেক মেয়াদে রাখার সুপারিশ করেছে ক্ষমতাধর নিরাপত্তা পরিষদ। গুতেরেস ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে সাবেক মহাসচিব বান কি-মুনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশের ফলে এখন তার দ্বিতীয় মেয়াদেও একই পদে থাকার পথ সুগম হল।
সাধারণ পরিষদ নিয়োগ অনুমোদন করলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গুতেরেসের পরবর্তী ৫ বছরের মেয়াদ শুরু হবে।
মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে আরেক মেয়াদে মহাসচিব রাখার প্রস্তাবে সমর্থন দেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
১৯৩ সদস্যের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে ১৮ জুন এ নিয়োগ পাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত স্ভেন ইয়ুর্গেনসন।
“আমার উপর তারা যে আস্থা রেখেছেন, সেজন্য নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ,” বিবৃতিতে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন ৭২ বছর বয়সী গুতেরেস।
জাতিসংঘ মহাসচিব পদে আরও অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামার ইচ্ছা পোষণ করলেও কেউই কোনো সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থন না পাওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই বৈশ্বিক সংস্থাটির শীর্ষ পদে ফিরছেন ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা গুতেরেস।
মহাসচিব পদে প্রথম মেয়াদে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, সকলের জন্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা ও ডিজিটাল সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে সোচ্চার ছিলেন।
২০১৭ সালে যখন তিনি মহাসচিবের দায়িত্বে আসেন, জাতিসংঘকে তখন সিরিয়া ও ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধ এবং সেখানকার মানবিক সংকট মোকাবেলায় খাবি খেতে হচ্ছিল। ওই দুই যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি, উল্টো নতুন করে যুক্ত হয়েছে মিয়ানমার ও ইথিওপিয়ার তিগ্রাইয়ের পরিস্থিতি।
গুতেরেস ১৯৯৫ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে প্রথম মেয়াদে তিনি চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মানবাধিকার লংঘন ও নিপীড়নের ঘটনায় তেমন সোচ্চার ছিলেন না বলে অভিযোগ সমালোচকদের।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, মানবাধিকার সুরক্ষা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষেত্রে গুতেরেস অবস্থান দৃঢ়।