প্যারাগুয়েকে হারানোর পর কোপা আমেরিকায় না খেলা নিয়ে সব গুঞ্জন থামিয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। আয়োজকদের সমালোচনা করলেও জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে খেলতে কোনো আপত্তি নেই। তিতের দলেও দেখা গেল এর প্রতিফলন, নিয়মিতদের সবাই জায়গা পেয়েছেন প্রতিযোগিতাটির ব্রাজিল দলে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সবশেষ দুই ম্যাচের দলে মাত্র একটি পরিবর্তন এনেছেন তিতে। বেনফিকার ডিফেন্ডার লুকাস ভেরিসিমোর জায়গায় এসেছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের ফেলিপে।
একুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দুটির দলে থাকলেও পরে চোটের জন্য বাদ পড়েন দানি আলভেস। তার জায়গা ডাক পাওয়া এমেরসন টিকে গেছেন দলে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ছয় ম্যাচের ছয়টিতে জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে কোপা আমেরিকার শিরোপা ধরে রাখার লড়াই শুরু করবে ব্রাজিল। বাংলাদেশ সময় আগামী সোমবার ভোর তিনটায় মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়ামে ভেনেজুয়েলার মুখোমুখি হবে স্বাগতিকরা।
‘বি’ গ্রুপে ব্রাজিলের অন্য প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া, একুয়েডর ও পেরু।
নিজেদের দেশে পাঁচবার প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে পাঁচবারই শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল। এর পুনরাবৃত্তি করতে যার দিকে সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকবে দলটি সেই নেইমার আছেন দারুণ ছন্দে। চোট কাটিয়ে জাতীয় দলে ফেরার পর দুই ম্যাচেই ছড়িয়েছেন আলো। গোল করেছেন, করিয়েছেন। এবার লাতিন আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেকে মেলে ধরার পালা তার।
কোপা আমেরিকার ব্রাজিল দল:
গোলরক্ষক: আলিসন (লিভারপুল), ওয়েভারতন (পালমেইরাস), এদেরসন (ম্যানচেস্টার সিটি)
ডিফেন্ডার: দানিলো (ইউভেন্তুস), এমেরসন (রিয়াল বেতিস), ফেলিপে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), আলেক্স সান্দ্রো (ইউভেন্তুস), রেনান লোদি (আতলেতিকো মাদ্রিদ), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), চিয়াগো সিলভা (চেলসি), মার্কিনিয়োস (পিএসজি)
মিডফিল্ডার: কাসেমিরো (রিয়াল মাদ্রিদ), ফাবিনিয়ো (লিভারপুল), ফ্রেদ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), লুকাস পাকুয়েতা (অলিম্পিক লিওঁ), দগলাস লুইস (অ্যাস্টন ভিলা), এভেরতন রিবেইরো (ফ্লামেঙ্গো)
ফরোয়ার্ড: এভেরতন (বেনফিকা), রবের্তো ফিরমিনো (লিভারপুল), গাব্রিয়েল বারবোসা (ফ্লামেঙ্গো), গাব্রিয়েল জেসুস (ম্যানচেস্টার সিটি), নেইমার (পিএসজি), ভিনিসিউস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ), রিশার্লিসন (এভারটন)