আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে মুখোশপরা বন্দুকধারীদের গুলিতে মাইন-ক্লিয়ারিং অর্গানাইজেশনের ১০ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৬ জন।
মঙ্গলবার রাতে এ হামলা হয়। খবর আলজাজিরার।
খবরে বলা হয়, দেশটির বাগলান প্রদেশে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মাইন-ক্লিয়ারিং অর্গানাইজেশন হ্যালো ট্রাস্টের ক্যাম্পে ১১০ কর্মী ছিল। সেখানেই মঙ্গলবার রাতে হামলা হয়।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থাটির নির্বাহী প্রধান জেমস কাউয়ান বলেন, বন্দুকধারীরা একটি জাতিগোষ্ঠীর নির্দিষ্ট কিছু মানুষের সন্ধান করছিল।
বুধবার আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে সাইট ইন্টেলিজেন্স মনিটরিং গ্রুপ।
প্রথমে এ হামলার জন্য তালেবানকে দায়ী করেছিল আফগান সরকার। যদিও তালেবান তা অস্বীকার করে।
হ্যালো ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তালেবান যোদ্ধারা বন্দুকধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জেমস কাউয়ান বলেন, তালেবানের স্থানীয় সদস্যরা আমাদের সহযোগিতা করেছেন। একই সঙ্গে তালেবান এ হামলার দায় অস্বীকার করেছে। তাই আমার ধারণা, ভিন্ন কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী এ হামলায় জড়িত।
হামলার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একজন বলেন, পাঁচ থেকে ছয়জন অস্ত্রধারী এসে আমাদের মধ্যে হাজারা সম্প্রদায়ের কেউ আছে কিনা জানতে চায়। এ সময় কেউই জবাব দেয়নি। এর পর কম্পাউন্ড লিডারকে গুলি করে হত্যা করার আগে তার পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। এর পরই বন্দুকধারীদের একজন বলে উঠল— সবাইকে গুলি করে মেরে ফেলো। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় অনেকের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে কেউ কেউ প্রাণে বেঁচে গেছি।
আফগানিস্তানে শিয়া মতাবলম্বী হাজারা সম্প্রদায় মোট জনসংখ্যার প্রায় ১৫ শতাংশ। তাদের ওপর আইএস হামলা চালিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। তবে সম্প্রতি পূর্বের চেয়ে হামলার তীব্রতা বেড়েছে গেছে।