ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে জনসম্মুখে থাপ্পড় দেওয়া ড্যামিয়েন ট্যারেলকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, দ্রুত বিচার আদালতে ওই যুবককে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিচারকের কাছে হাজির করা হবে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ড্যামিয়েন ট্যারেল ম্যাক্রোঁকে থাপ্পড় মারার কথা স্বীকার করেছেন। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তিনি থাপ্পড় দেননি বলে জানিয়েছেন।
বিষয়টি উল্লেখ করে প্রসিকিউটর অ্যালেক্স পেরিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ট্যারেল কোনো রকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই থাপ্পড় মেরেছেন। নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশে প্ররোচিত হয়ে হঠাৎ তিনি এই কাজ করেছেন।
তবে আলোচিত ওই যুবক কোনো সন্ত্রাসী রাজনৈতিক দলের সদস্য নন বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটর।
মঙ্গলবার ফ্রান্সের একদল বাসিন্দার সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে যুবকের রোষানলে পড়েন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। দর্শনপ্রত্যাশীদের কাতারে দাঁড়িয়ে থাকা ড্যামিয়েন ট্যারেল নামে এক যুবক প্রেসিডেন্টের গালে থাপ্পড় বসিয়ে দেন।
এই ঘটনায় ফ্রান্সসহ পুরো বিশ্ব হতবাক হয়ে যায়। ম্যাক্রোঁ পরে এটাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। সহিংসতা ও ঘৃণা দেশের জন্য হুমকি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ট্যারেলসহ তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত ট্যালে দক্ষিণ-পূর্ব সেন্ট-ভ্যালিয়ের শহরে বসবাস করতেন। তার পরিচিতরা জানিয়েছেন তিনি কট্টর ডানপন্থী মতবাদে বিশ্বাসী হলেও ঝামেলা সৃষ্টিকারী মানুষ নন।
পুলিশ ট্যারেলের সহযোগীর বাসা থেকে অস্ত্র, হিটলারের আত্মজীবনী মাইন কাম্ফ (আমার সংগ্রাম) ও কমিউনিস্টদের লাল পতাকা উদ্ধার করে।
ফ্রান্সের আইনে সরকারি কর্মকর্তাকে হেনস্থার দায়ে ট্যারেলের সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড এবং ৪৫ হাজার ইউরো জরিমানা হতে পারে। তবে তার সহযোগী থাপ্পড় মারার মামলায় দোষী হবেন বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর। ট্যারেলের সহযোগীর বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র আইনে অভিযোগ গঠন করা হবে।