তানভীর দিপু: কুমিল্লায় বাড়ির আঙিনা থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধারের ঘটনাকে মাদকের আগ্রাসনে অশনিসংকেত বলছেন আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, সাধারণ মানুষ গাঁজা গছ চিনবেন না, যে কারনে চোঁখের সামনে গাছ লাগিয়ে সেবন ও বিক্রি করা হলে তা ধরা মুশকিল। এ ব্যাপারে এসব ঘটনা প্রবন এলাকা চিহ্নিত করে মাদক দ্রব নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যৌথ অভিযান প্রয়োজন বলে জানান তারা। সম্প্রতি কুমিল্লার মেঘনা ও হোমনা উপজেলায় বাড়ির আঙিনা থেকে গাঁজা গাছ উদ্ধারের ৩টি ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, গতকাল মেঘনা উপজেলায় গাঁজা গাছসহ মো. সুজন মিয়া (৩৯) নামে এক মাদক ব্যবসায়িকে আটক করেছে পুলিশ। গাঁজা গাছ দু’টি সুজন মিয়ার বাড়ির আঙিনাতেই লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকালে মাদক দ্রব্যনিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের শেষে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটক মো. সুজন মিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মো. মজিদ প্রকাশ মইজুদ্দিনের ছেলে। পুলিশ জানায়, সুজনের দেহ তল্লাশী করে ২০০ গ্রাম গাঁজা এবং তার দেওয়া তথ্যের মতে বাড়ির আঙ্গিনায় দেড় ফুট লম্বা দুইটি গাঁজাগাছ জব্দ করা হয়।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি হোমনা পৌর এলাকার জনৈক খোকনের বাড়িতে লাগানো ৩টি তরতাজা গাঁজা গাছ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ৩ দিন পর একই উপজেলার নাল দক্ষিণ গ্রামে সাবেক ইউপি মেম্বার আমান উল্লাহর বাড়ি আঙিনায় রোপন করা দুই টি গাজা গাছ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় মেম্বারকে আটকও করে পুলিশ। এমন বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাঁজা গাছ উদ্ধারের ঘটনায় শংকা প্রকাশ করে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ জানান, একদিকে গাঁজা পাচার হয়ে আসে। তার উপর যদি এভাবে বড়ির আঙিনায় ঝোপঝাড়ে গাছ লাগিয়ে তা বিক্রি ও সেবন করা হয়- এটা অশনি সংকেত। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এ বিষয়ে খুব বেশি সোচ্চার হওয়া উচিত। কারণ, সাধারণ মানুষ তো আর গাঁজা গাছ চিনবে না। যে কারনে চোঁখের সামনেই হয় তো গাছ লাগানো থাকবে- কিন্তু কেউ টের পাবে না।
কুমিল্লা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান, গাঁজা গাছ উদ্ধারে আলাদা আইন আছে। আমরা তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো এবং এব্যাপারে কেউ তথ্য দিলে আমরা অবশ্যই সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো।