কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ১১৫ বছর বয়েসী ইয়াকুব আলী নামের এক বৃদ্ধ শুক্রবার (১১জুন) বিকেলে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছে। নিহত বৃদ্ধ ইয়াকুব আলী উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের বেজুরা গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মৃত মাহত আলীর ছেলে। মৃত্যুকালে তার বয়েস হয়েছিল ১১৫ বছর। এ ব্যপারে নিহতের বড় ছেলে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ইয়াকুব আলী দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন এবং তিনি মানষিক রোগী ছিলেন। ঘটনার দিন শুক্রবার বিকেলে তিনি রোগের তাড়নায় পরিবারের লোকজনের অগোচরে জমিতে দিতে আনা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। স্বজনরা তাকে কুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে পথেই মারা যায়। পরে স্বজনরা তাকে একইদিন রাতে তার নিজ গ্রাম বেজুরায় নিয়ে আসে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ ওইদিন রাতেই নিহত বৃদ্ধের লাশ তার বাড়ি থেকে শোহরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এই ব্যাপারে নিহত বৃদ্ধের বড় ছেলে আলী হায়দার বলেন, আমার বাবা মানুষিক ভাবে অসুস্থ্য ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে কাউকে কিছু না বলে সকলের অগোচরে জমিতে দেওয়ার কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আমরার বিষয়টি টের পেয়ে আমার বাবাবে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আমরা আমার বাবাকে কুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে আমরা বাবার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসলে খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ আমার বাবার লাশ ময়না তদন্তের জন্য একই দিন রাতে কমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে আমি ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছি এবং ময়ন তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আমার বাবার লাশের দাফন সম্পন্ন করেছি।
থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, বিষ পানে বৃদ্ধের অত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চত হয়ে বৃদ্ধের লাশ তার বাড়ি থেকে শোরতহাল রিপোর্ট তৈরী শেষে আমরা উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। যেহেতু বিষ পানে আত্মহত্যা, তাই আইনানুগ ভাবে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফন করা বেআইনী। ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।