করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারতে নতুন রোগীর সংখ্যা কমতে থাকায় মহামারী পরিস্থিতির উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, রোববার সকালের আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৮০ হাজার ৮৩৪ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
২ এপ্রিলের পর থেকে এটি ভারতে দৈনিক শনাক্তের সর্বনিম্ন সংখ্যা বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
এদিন তামিলনাডুতে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, এরপর দৈনিক শনাক্তের সংখ্যায় শীর্ষে ছিল কেরলা ও মহারাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের পর শনাক্ত রোগীর সংখ্যায় বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৯ জনে।
একই দিন ভারতে আরও ৩৩০৩ জন রোগীর মৃত্যু হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পর মৃতের সংখ্যায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে থাকা দেশটিতে মারা যাওয়া কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিন লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ভারতে দুই লাখের বেশি কোভিড-১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে দেশটির কিছু রাজ্যে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা সরকারি তালিকায় উঠে আসেনি বলে খবর হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটিতে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসাবের পাঁচ থেকে ১০ গুণ বলে বিশ্বাস বিশেষজ্ঞদের।
ভারতের বেসামরিক নিবন্ধন পদ্ধতি থেকে পাওয়া তথ্যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, আগে দেশটির মধ্যপ্রদেশে মৃত্যুর যে হার ছিল মহামারীর শুরু হওয়ার পর সেটি তিন গুণেরও বেশি হয়ে গেছে, কিন্তু সরকারি হিসাবে কোভিডে মৃত্যুর যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা এই অতিরিক্ত মৃত্যুর একটি ভগ্নাংশ মাত্র। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে মহামারীতে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে।
সম্প্রতি দেশটির বিহার রাজ্য কোভিড-১৯ এ তাদের মোট মৃত্যুর সংখ্যা সমন্বয় করার পর সেটি ৫৪০০ থেকে বেড়ে ৯৪২৯ জনে দাঁড়ায়। এতে ভারতে দৈনিক কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর বিশ্বরেকর্ড হয়ে যায়।