প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে হঠাৎ মাঠে লুটিয়ে পড়েন ডেনমার্কের বড় তারকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। অবস্থা এতটা খারাপ যে হাসপাতালে নিতে হয় তাকে। স্বাভাবিকভাবেই ডেনমার্ক শিবিরে চরম উৎকণ্ঠার জন্ম নেয়। এই পরিস্থিতিতে মাঠে ফিরে আবার পারফর্ম করা ছিল কঠিন পরীক্ষা। তবে সতীর্থের জন্য হলেও জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ফের মাঠে নেমেছিল ডেনিশরা। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চমক জাগিয়ে ইউরোর ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতে নিয়েছে ফিনল্যান্ড।
কোপেনহেগেনে এরিকসেনকে ছাড়াই প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পর আবার শুরু হয় খেলা। কিন্তু পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলা ডেনমার্কের জন্য আরও দুঃখ অপেক্ষা করছিল। শুরুতে এরিকসেনকে হারানো, এরপর পেনাল্টি মিস। ফল, হার দিয়ে শুরু হয়েছে তাদের ইউরো অভিযান।
ফিনল্যান্ডের এটাই ইউরোর মতো বড় কোনও প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশগ্রহণ। আর শুরুর ম্যাচে ফিনিশদের ৩ পয়েন্ট পাওয়াটা ছিল চমক দেখানোর মতোই। এমিনতে ডেনিশদের চেয়ে ফিফা র্যাংঙ্কিংয়ে বেশ পিছিয়ে তারা। ডেনমার্ক দশে ও ফিনল্যান্ড ৫৪তম স্থানে। ফিনল্যান্ড ৫-৩-২ ছকে প্রতিআক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলেছে। আর ডেনমার্ক ৪-৩-৩ ছকে খেলে একের পর এক আক্রমণ করে খেলেও নিজেদের মাঠে ম্যাচ জিততে পারেনি।
ম্যাচের ১৫ মিনিটে ডেনমার্কের পিয়ের্রে এমিলের হেড গোলকিপার কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। চার মিনিট পর এরিকসেনের শট গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করে দলকে ম্যাচে রাখেন। ২৫ মিনিটে মার্টিন ব্যাথওয়েটের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে ডেনিশদের হতাশ হতে হয়।
তবে আরও খারাপ কিছু আসে ৪৩ মিনিটে। যখন ২৯ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এরিকসন হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মেডিক্যাল টিম সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে ঢুকে তাকে সুস্থ করতে চেষ্টা করতে থাকেন। সমর্থক থেকে থেকে সতীর্থ সবার চোখে তখন অশ্রু। একপর্যায়ে সবাই মিলে পর্দা দিয়ে ঘিরে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান। খেলা তখন বন্ধ। যদিও হাসপাতালে নেওয়ার পর এরিকসেনের অবস্থা স্থিতিশীল।
ম্যাচ সাময়িক বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয়। এরিকসেনের জায়গায় ম্যাথিয়াস জেনসেন নামেন। ৫২ মিনিটে তার নেওয়া শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
৫৯ মিনিটে ম্যাচের ধারার বিপরীতে ফিনল্যান্ড গোল করে এগিয়ে যায়। সতীর্থ জেরে উরোনেন্সের ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন পোহানপালো। গোলকিপারের হাতে লেগে বল জালে জড়ায়।
৭২ মিনিটে ডেনমার্ক পেনাল্টি থেকে গোল শোধ দেওয়ার সুযোগ পায়। পলসেনকে ফেলে দেন ফিনিশদের এক ডিফেন্ডার। কিন্তু পিয়েরে এমিলের স্পট কিক বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন ফিনল্যান্ড গোলকিপার লুকাস। শেষ পর্যন্ত ডেনমার্ক আর ম্যাচে সমতা ফেরাতে পারেনি।
দিনের আগের খেলা ‘এ’ গ্রুপে সুইজারল্যান্ড-ওয়েলসের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়।