ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
চাঁদপুরে সৌন্দর্য্যমন্ডিত হয়ে উঠেছে বড় স্টেশন মোলহেড
Published : Monday, 14 June, 2021 at 12:00 AM
মানিক দাস // চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ও পর্যটকদের প্রিয় স্হান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত বর্ধভূমি খ্যাত বড়স্টেশন মোলহেড যেন সৌন্দর্য্য ম-িত হয়ে উঠেছে।চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও চাঁদপুর পৌর সভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের যৌথ উদ্যোগে এ স্হানের সুন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ স্থানটিকে পর্যটকদের জন্য নান্দনিক ভাবে সাজিয়ে তুলা হচ্ছে। শুক্রবার ১২ জুন পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান হান্নান মিয়া সরজমিনে স্থানটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন সরকার জনগনের জন্যে যা ভাল হবে তাই করবে।আমরা কারো সাথে মনোমালিন্য করে কাজ করতে চাইনা। জনগনের দাবী পূরনে কাজ করবো।

বড় স্টেশন মোলহেডের সৈৗন্দর্য্য বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন কাজ শুরু করেছে। ইতি মধ্যে বড় স্টেশন বালুর মাঠ ও মোলহেডে যে সব অবৈধ দোকান পাট ছিল তা সরিয়ে নেয়া হয়ে। প্রশাসনের পা থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে অবৈধ ও ভাম্যমান দোকানিদের জন্য নির্ধারিত স্থান হিসাবে মোটর সাইকেল এবং মাইক্রোবাস পাকিং স্থানটিতে সামিয়ানা তৈরি করে দেয়া হয়েছে। শিশুদের বিনোদনের যে সব রাইডার খোলা মাঠে বসানো হয়েছিল তা সরিয়ে প্রবেশের মুল গেইটের পশ্চিম পাশে বাউন্ডারি করে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাছাড়া পর্যটকদের বসার জন্য চতুর্ভুজ আকৃতির পাকা বেঞ্চ নির্মান করা হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, প্রাকৃতিক সুন্দর্য্য উপভোগ করতে পর্যটকদের বিশ্রাম ও কান্তি দূর করতে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়ে বড় স্টেশন মোলহেডের সৌন্দর্য্য বর্ধনে কাজ শুরু করেছে। আর সহযোগিতা করছে চাঁদপুর পৌরসভা। ৩ লাখ টাকা ব্যায়ে মোলহেডে পর্যটকদের বসার জন্য পাকা বেঞ্চ, দেয়াল নির্মাণ করে রাইডার গুলোকে নিদিস্ট স্থানে নেয়া হয়েছে।
বড় স্টেশনে রামগঞ্জ থেকে ঘুরতে আসা কলেজ শিার্থী রায়হান ও হিমেল জানায়, আমরা সুযোগ পেলেই মোটর সাইকেল নিয়ে বন্ধুরা চাঁদপুরে ঘুরতে আসি। এত যে পরিবেশ দেখেছিলাম আজকে তার ভিন্ন পরিবেশ দেখছি। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। এখন যে স্দুর পরিবেশ বিরাজ করছে সেই পরিবেশ যেন সব সময় বজায় থাকে। সত্যি বড় স্টেশন মোলহেড অনেক সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। কচুয়া থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে আসা সামাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে বড় স্টেশনের যে সুন্দর্য্য দেখা যাচ্ছে তা আমাদের দৃস্টি নন্দন করেছে। শুনেছি এটি নাকি মুক্তিযুদ্ধের সময় বর্ধ ভূমি। এখানে পাকিস্তানিরা না কি মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এনে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিত। এ স্থানটিকে আরো আগেই পর্যটকদের জন্য উপযুগি করে গড়ে তুলা প্রয়োজন ছিল। তবে দেরীতে হলে ও তা করায় কর্তৃপকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই। এদিকে বড় স্টেশন বালুর মাঠে নির্মিত চাঁদপুরের ব্যান্ডিং ইলিশ ফোয়ারাটির অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের পথে। গত কয়েকদিন ধরে এটি টাইলস বসানোর কাজ করা হয়েছে। এখন শুধু রূপালী ইলিশটিকে ফুটিয়ে তোলা বাকি রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য রক্তধারা এই স্থানের বধ্যভূমির স্মৃতি বহন করে আছে। বড় স্টেশন মোলহেড চাঁদপুর শহর রক্ষাবাঁধের প্রধান অংশ। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৮ সাল ও ২০০৮ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত নতুন ব্জাার এলাকার ১ হাজার ৭শ ৩০ মিটার ও পুরাণবাজার শহর রক্ষা বাঁধের ১ হাজার ৬শ’ ৩০ মিটার সহ মোট ৩ হাজার ৩শ ৬০ মিটার সম্পাদিত তীর সংরক্ষন কাজের ২টি ধাপে ১শ ৬৪ কোটি ৩০ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করে এ বাঁধ রক্ষায় কাজ করেছে। প্রতিদিন এই স্থানে চাঁদপুর জেলা ও উপজেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলা থেকে অনেক ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা ঘুরতে আসে। এ পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর পৌরসভা যৌথ উদ্যোগ নিয়ে এর উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে।